দেশের সময় : এ যেন ঠিক বলিউডি সিনেমার দৃশ্য। আদালতে শুনানির জন্য আনা হয়েছিল জেলবন্দি এক খুনে অভিযুক্তকে। পুলিশ ভ্যান থেকে নামতেই তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা।
হাপুর জেলা আদালতের সামনের এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষ্মণ সিং নামে ৩৫ বছরের এক যুবক অন্য একটি মামলায় ফরিদাবাদ জেলে বন্দি। শুনানির জন্য মঙ্গলবার তাকে আদালতে এনেছিল হরিয়ানা পুলিশ। আদালতের গেটের সামনে পুলিশ ভ্যান দাঁড় করানো হয়। লক্ষ্মণ যখন পুলিশের গাড়ি থেকে নামছিল, তখনই বাইকে করে তিনজন এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মণের।
গুলিতে জখম হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবলও। তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে ধাওলানা গ্রামে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত লক্ষ্মণ। সে অবশ্য তখন একটি পকসো মামলায় জেলে। কিন্তু জেলে বসেই সে ওই খুনের ছক কষে বলে অভিযোগ। ওই খুনের ঘটনাতেই মঙ্গলবার আদালতে শুনানি ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, লক্ষ্মণকে মেরেছে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন। এটা গ্যাং ওয়ারের পরিণাম। যা ২০১২ সাল থেকে চলছে।
২০১৯ সালে লক্ষ্মণের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর সুধীর সিং খুন হয় ধাওলানা গ্রামে। মঙ্গলবার আদালত চত্বরে লক্ষ্মণকে খুন করে তারই বদলা নিল সুধীরের গ্যাংয়ের লোকজন, এমনটাই মনে করছেন মিরাট রেঞ্জের পুলিশের আইজি প্রবীণ কুমার। লক্ষ্মণকে ছ’জনের একটি পুলিশ টিম মঙ্গলবার জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে থাকা সাব ইন্সপেক্টর বিজয় সিং বলেন, আমরা আদালতের গেটের কাছে পুলিশ ভ্যান দাঁড় করিয়েছিলাম।
লক্ষ্মণ নামে ওই আসামী সবে গাড়ি থেকে নামছিল। তখনই বাইকে করে তিনজন এসে আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিতে লক্ষ্মণকে ঝাঁঝরা করে দেয়। আমাদের এক কনস্টেবলও মারা গিয়েছেন। মঙ্গলবারের খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সুনীল কুমার। সে ২০১৯ সালে খুন হওয়া সুধীরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অবশ্য সে নয়ডায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে। সুনীল কুমার একজন শার্প শ্যুটার হিসাবে পরিচিত।