দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: প্রয়াত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৫। মঙ্গলবার হিজলপুকুরে নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
প্রণববাবু দীর্ঘদিন মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির উত্তর ২৪ পরগনার জেলা কমিটির দায়িত্ব সামলেছেন। এ দিন তাঁর মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সালটা তখন ১৯৭৯। উত্তর ২৪ পরগনা হাবরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত বোর্ডের প্রথম উপ প্রধান হলেন প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। পরবর্তীতে অর্থাৎ ঠিক ন’বছর পরে ১৯৮৮ থেকে ৯৩ সাল পর্যন্ত হাবরার নির্বাচিত পৌরসভার প্রথম পৌর প্রধানও ছিলেন তিনিই। এরপর হাবরা বিধানসভার বিধায়কের দায়িত্ব সামলেছেন ২০০৬ থেকে ২০১১ পর্যন্ত।
তিনি শুধু রাজনীতিবিদই ছিলেন না। একাধারে ছিলেন শ্রী চৈতন্য কলেজের পদার্থবিদ্যার ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।এছাড়াও জেলার বিভিন্ন কলেজের গর্ভনিং বডির সদস্যও ছিলেন প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। পরিবার বলতে রয়েছে স্ত্রী ও কন্যা। এছাড়ও রয়েছেন আত্মীয়-স্বজন।
মঙ্গলবার ৩টে ৪০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। প্রণববাবুর ইচ্ছা অনুযায়ী মৃত্যুর পর চক্ষুদান করা হয় তাঁর। এরপর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে তুলে দেওয়া হবে তাঁর দেহ।
এ দিকে, বিশিষ্ট এই রাজনীতিবিদের প্রয়াণে দলীয় কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন তার বাড়িতে। পাশাপাশি এদিন তৃণমূলের প্রাক্তন পৌরপ্রধান নিলিমেশ দাসকেও দেখা যায় প্রণববাবুর বাড়িতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, তাঁর দেহ স্থানীয় পার্টি অফিস হয়ে, পৌরসভা ঘুরে, চৈতন্য কলেজ হয়ে জেলা সিপিএম কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। নিলিমেশ দাস বলেন, ‘হাবরাবাসীর কাছে অন্তত বেদনার দিন। দীর্ঘদিনের রাজনীতির মানুষ চিরদিনের জন্য ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। তার মৃত্যুতে হাবরার বড় ক্ষতি হল। আমরা প্রত্যেকে শোকগ্রস্ত। আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। মৃত্যুর পরও স্যার তাঁর সামাজিক কাজ বজায় রাখলেন। তিনি চক্ষুদান করে গেলেন নিজের।’