অর্পিতা বনিক, বনগাঁ : নাব্যতা হারিয়ে বহু দিন হল ইছামতী নদীটি মৃতপ্রায় ৷ নাব্যতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছর ভারী বৃষ্টিতে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়। চাষের ক্ষতি হয়। ২০০০ সালে বন্যার পর থেকে নদী সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হন নদীপাড়ের মানুষ এবং বিভিন্ন সংগঠন।
পড়শি দেশের অংশেরও ইছামতী সংস্কারের দাবি তোলেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা৷
নদীর এই করুণ পরিণতির ফলে ফি বছর বর্ষায় বনগাঁ শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে জলবন্দি অবস্থায় কাটাতে হয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহরের নিকাশি ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইছামতী নদী। অতীতে বৃষ্টির জমা জল ইছামতী হয়েই বেরিয়ে যেত। এখন নদীর জলধারণ ক্ষমতা নেই। ফলে জমা জল তো বের হয়ই না, উল্টে নদীর জল লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।
বনগাঁ শহরের বাসিন্দা কবি বিভাস রায়চৌধুরী বলেন,দেশ ভাগের পর সীমান্ত রেখা হয়ে এখন মৃতপ্রায় ইছামতী নদী৷ দীর্ঘদিন ধরে ইছামতী সংস্কারের কথা শুনে আসছি। বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। নদী থেকে পলি, কচুরিপানা তোলা হচ্ছে। সেই পলি পরবর্তী সময়ে নদীর জলেই মিশে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও নদী ঘিরে ফেলা হয়েছে। নদীতে আবর্জনা ফেলা হয়। প্রশাসন নদী সংস্কারে পদক্ষেপ না করলে নদীর মৃত্যু হয়ে যাবে। বনগাঁর সাধারণ মানুষেরও বড় ক্ষতি হবে। দেখুন ভিডিও-