‘সবার মনের তার ছুঁয়ে গিয়েছিলেন’, কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে শোকে বিহ্বল সংগীত শিল্পী বিশাখজ্যোতি একান্ত সাক্ষাৎকাকারে গাইলেন কেকে-র গান!
অপির্তা বনিক, দেশের সময়: উত্তর ২৪ পরগনায় যাঁর শিকড়, সেই বিশাখ জ্যোতি (Bishakh Jyoti) বর্তমানে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী।
সম্প্রতি ৬৭ জাতীয় ফিল্ম পুরষ্কারের মঞ্চে বাংলা তথা বনগাঁর এই ছেলেকে ‘ক্রান্তি দার্শি গুরুজী – অ্যাহেড অফ টাইম’ (Kranti Darshi Guruji- Ahead of Time) গানটির জন্য সেরা পরিচালকের সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এরপর সারেগামাপা-র মঞ্চে জুড়ি বিচারকের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশাখ জ্যোতি।
কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে শোকে বিহ্বল সংগীত শিল্পী বিশাখজ্যোতি ! দেশের সময়-এর অ্যান ইভিনিং ইন মিউজিক (an evening in music) অনুষ্ঠানে একান্ত সাক্ষাৎকারে কেকে-র অ্যালবাম থেকে তাঁর প্রিয় কয়েকটি গান গেয়ে বললেন,‘সবার মনের তার ছুঁয়ে গিয়েছিলেন’, কেকে- স্যার৷ দেখুন ভিডিও:
প্রসঙ্গত, মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথমেই সুর ধরেছিলেন, “হম রহে না রহে কাল” দিয়ে। গাইছিলেন একের পর এক জনপ্রিয় গান। কিন্তু এই অনুষ্ঠানই যে তাঁর শেষ অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়াবে, তা হয়তো কেকে নিজেও কল্পনা করতে পারেননি। ৩১ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে শ্রী গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের জন্য শো করতে এসেছিলেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুনাথ ওরফে কেকে।
অনুষ্ঠান চলাকালীনই তিনি অসুস্থবোধ করেন, ফিরে যান হোটেলে। পরে সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশই। শুধুমাত্র সঙ্গীত ও অভিনয় জগতের সদস্যরাই নন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ গোটাদেশের মানুষ কেকে-র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
কেকের প্রথম অ্যালবাম পাল রিলিজ হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। সেই সময় তাঁর প্রাণময় কণ্ঠ সকল মানুষের মনে খুশী এনেদিয়েছিল। তারপর থেকে তিনি অনেক সুন্দর সুন্দর গান শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন। আঁখোঁ মে তেরি থেকে লবো কো বলিউডের অনেক গানে তিনি মুগ্ধ করেছিলেন সকলকে। ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল গানটি সকলের মনে লেখা থাকবে।