দেশের সময় ,ওয়েবডেস্কঃ বারুনী মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ঠাকুরনগরে। রাজনীতির কারণে ঠাকুরনগরের যে মতানৈক্য ছিল, সেটাও এবার দূর হয়ে গিয়েছে। তাই দুটি পৃথক মতুয়া ভক্ত সংগঠন এবার একসঙ্গেই সেই মেলা শুরু করেছে। আর সেই মেলায় যোগ দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন মতুয়ারা।
.আন্দামান নিকোবর থেকে মতুয়া ভক্তদের যাতে আসতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এই প্রথমবার অতিরিক্তি জাহাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
কয়েকদিন পরেই ঠাকুরনগরে হবে বারুনী মেলা। সেই মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ঠাকুরনগর সরগরম হয়ে উঠেছে। রাজনীতির কারণে ঠাকুরনগরের যে মতানৈক্য ছিল তা দূর হয়েছে।
এবারে সেখানে সৌজন্যের ছবি ধরা পড়বে। একদিকে মমতা বালা ঠাকুর ও অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর দুটি পৃথক মতুয়া ভক্ত সংগঠন চালান। এবার একত্রিত হয়ে একসঙ্গে মেলা করছেন তাঁরা। অন্যদিকে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে শান্তনু ঠাকুর আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ থেকে একটি জাহাজ চালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যে জাহাজে করে মতুয়া ভক্তরা আসবেন
আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রচুর মতুয়া ভক্তরা থাকেন। অন্যান্য বছরের মতো রেলমন্ত্রীর কাছে আলাদা করে বাড়তি রেলের আবেদন জানিয়েছেন ভক্তরা। সেই জায়গা থেকে অনেক অতিরিক্ত ট্রেন চলবে ভক্তদের জন্য।
এই প্রসঙ্গে মমতা বালা ঠাকুর জানিয়েছেন, করোনার কারণে পরপর দু বছর কোনও মেলা হয়নি। যাঁরা দু বছর ধরে আসতে পারেননি তাঁরা এবার এসে যাতে আনন্দ করতে পারেন সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।
সুব্রত ঠাকুর জানিয়েছেন, দুই সংগঠনের একসঙ্গে মেলা হচ্ছে এবার। তাঁর কথায়, রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই মেলার মাধ্যমে ভক্তদের মিলনের বার্তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। একটা জট তৈরি হয়েছিল, সেটা কেটে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া জানান, এই প্রথম জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে আন্দামান থেকে বিশেষ জাহাজের সুবিধা পাচ্ছেন মতুয়া ভক্তরা এবারের বারুনী মেলায় আসার জন্য৷ পাশাপাশি অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল৷ ফলে এবার মেলায় সারা ভারতের অসংখ্য ভক্তরা তাঁদের প্রিয় পীঠস্থানে এসে স্নান যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷