পিয়ালী মুখার্জী ‘কলকাতা: ক্যানভাসে আঁকা আছে একের পর এক ছবি। কবিতার আকারে। ফুটে উঠেছে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের কবি শিমুল পারভীনের কলমে। আছে দেশ, আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, আছে প্রেম, আছে প্রকৃতি।
এর আগে লেখিকার একাধিক বই প্রকাশিত হলেও এই বইটি তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতায় ঠাসা, ‘ক্যানভাসে কবিতা’। শনিবার যা প্রকাশিত হল কলকাতা বইমেলায়।
লেখিকা ছাড়াও ছিলেন দুই বাচিক শিল্পী জগন্নাথ বসু এবং উর্মিমালা বসু। ছিলেন পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, কবি মৃদুল দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ড. দেবব্রত রায়, সুদীপ্ত বিশ্বাস এবং বইটির প্রকাশক শৈশব প্রকাশনার কর্ণধার স্বপনকুমার ঘোষ।
শ্রুতিনাটক-সহ বইটিতে আছে ১১৪টি কবিতা। বইটির জন্য শিমুল পারভীনকে উৎসাহিত করে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) আচার্য সত্যম রায়চৌধুরী। শনিবার এই বইটি প্রকাশের পেছনে এসএনইউ’র আচার্যের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জানিয়েছেন সঞ্চালক বিপ্লব গাঙ্গুলি৷
সেজন্যই শনিবার মঞ্চে উপস্থিত না থাকতে পারলেও কবিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এসএনইউ’র আচার্য। মোবাইল ফোনে তাঁর এই শুভেচ্ছাবার্তা তুলে ধরা হয়েছে দর্শকদের সামনে। আচার্য বলেন, ‘নতুন এই বইয়ের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা রইল। অসাধারণ কবিতা লেখেন শিমুল।
বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত কবি। সংস্কৃতি জগতে তাঁর অবাধ বিচরণ। কলকাতা বই মেলায় এই বই প্রকাশের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।’ প্রকাশিত বই থেকে এদিন একটি কবিতা পাঠ করে শোনালেন শিমুল পারভীন নিজে। বইটির সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কবিতাই আমার জীবনের অভিজ্ঞতা।
দেশ, স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, প্রেম, প্রকৃতি-সহ সব ধরনের কবিতাই আছে এই বইটিতে।’ বাচিক শিল্পী উর্মিমালা বসুও পাঠ করেন শিমুল পারভীনের একটি কবিতা। প্রশংসা করেন কবির। জগন্নাথ বসু বলেন, ‘বাঁধা ছকের বাইরে গিয়ে লেখেন শিমুল।’ প্রশংসা করেন দেবাশিস সেন ও ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। ত্রিদিব বলেন, ‘শিমুল পারভীনের বই যেন ভারত থেকে আরও প্রকাশিত হয়।’ সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বপনকুমার ঘোষ৷