দেশের সময় , পেট্রাপোল : বৃহম্পতিবার ৪ দিন পূর্ণহতে চলেছে ৬ মাস গাড়ির কাগজ বৈধ করার দাবিতে মোট ৮ টি সংগঠনের একত্রিত আন্দোলন৷আর তার জেরে পেট্রাপোল সীমান্তে আমদানি-রফতানি বন্ধ। বার বার এই বিষয়ে আলোচনা করে কোনও সুরাহা মেলেনি বলেও অভিযোগ রফতানির কাজে জড়িতদের।
গাড়ি রাখার জায়গায় গাড়িচালক এবং খালাসিদের ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কিছু দিন আগেই স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, কোনও গাড়িকে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার পর থেকেই বৈধ কাগজ ছাড়া গাড়ি ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
যদিও রফতানির কাজে জড়িতদের দাবি, করোনা আবহে অনেক গাড়ির কাগজ পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। তার মাঝেই হঠাৎ করে এই নতুন নিয়মের কারণে প্রচুর গাড়ি আটকে যাবে বলেও আশঙ্কা তাঁদের। তাই আগামী ৬ মাস গাড়ির কাগজ বৈধ করার সময় চেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আরও দাবি, তত দিন পর্যন্ত যেন তাঁদের গাড়ি আটকানো না হয়। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা এই ভাবেই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এর ফলেই পেট্রাপোল সীমান্তে বন্ধ হয়েছে আমদানি-রফতানি।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড স্টাফ ওয়েল ফোয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বুধবার শুল্ক দফতরের সঙ্গে কলকাতাতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে ক্লিয়ারিং এজেন্টরা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শুল্ক দফতরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে তাদের দাবি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান তবে কোন সবুজ সংকেত এখনও পর্যন্ত মেলেনিবা সেখান থেকে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায় নি ৷
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ক্লিয়ারিং এজেন্টরা পেট্রাপোলের বাকি সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন এই আন্দলোন জারি রাখাবেন না কি কর্মরিতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ফের চালু করবেন আমদানি-রফতানির কাজ৷ এদিনের বৈঠকের পর কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা আজই জানিয়ে দেওয়া হবে শুল্ক দফতরকেও ৷
পেট্রাপোল এক্সপোর্ট এন্ড ইমপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন,টানা চার দিনে পড়ল আন্দোলন পেট্রাপোল সীমান্ত বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্য আমরা চাই দ্রুত এর সমাধানসূত্র বার করে ফের কাজের গতি আসুক বন্দরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের ফল কি হয় তা দেখার জন্যও মুখিয়ে আছে আন্দোলনকারীরা।