দেশের সময় বনগাঁ: বিজেপির কর্মীসভা চলাকালীন দলীয় নেতা, কর্মীদের হাতে দলের অন্য নেতা, নেত্রী আক্রান্ত হবার ঘটনায় বিজেপির ৩ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদেরকে জেল হেফাজতে পাঠান। শুনানীর জন্য মঙ্গলবার ফের তাদের আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে বনগাঁর কালুপুর এলাকায় বিজেপির একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমন্ত্রিত না হয়েও হাজির হন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অর্ণব সুর, তাঁর স্ত্রী তথা কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য লতিকা সুর। অভিযোগ, এই সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় বিজেপির কয়েকজন নেতা, কর্মী। কালুপুর মণ্ডলের সভাপতি বিশ্বজিৎ ঘোষ-সহ স্থানীয় বিজেপি নেতা ও বিধায়কের অনুগামীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ, এমনকি তাঁদেরকে ফেলে দেওয়া হয় সিঁড়ি থেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। লতিকাদেবীর বুকে, মাথায় ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
রাতেই বনগাঁ থানায় দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লতিকা সুর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এদিন রাতে বিজেপির গাইঘাটার চাঁদপাড়া পশ্চিম মন্ডলের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মন্ডল, পরিমল বিশ্বাস এবং দীনবন্ধু তরফদার নামে ৩ বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা। অর্ণব ও লতিকা স্বামী-স্ত্রী, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করে চলছে। স্বপনবাবুর কথায়, “শুনেছি মিটিং চলাকালীন গিয়ে চেঁচামেচি করছিল। স্থানীয় কর্মীরা ওদের সড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। মারধরের বিষযটিও আমার জানা নেই।”
এব্যাপারে ধৃতরা মারধোরের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করে, গোলমালের সময় লতিকা সুর উপস্থিত ছিলেন না। ফলে তাঁকে মারধোরের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের অভিযোগ, অর্ণব সুর এবং তার স্ত্রী লতিকা সুর বিজেপির পদে থেকে গোপনে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। তাই এলাকার বিজেপি কর্মীরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত।