দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে সরকারের স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পে পরিবারের মহিলারাই হবেন প্রধান। অর্থাৎ পরিবারের মহিলাকেই এই বীমায় প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। তাঁর নামে থাকবে স্বাস্থ্যবিমার স্মার্ট কার্ড। আর এর আওতায় বিবাহিত মহিলার শ্বশুর, শাশুড়ি, ছেলে, মেয়ে, স্বামী যেমন থাকবেন তেমনই তাঁর মা–বাবাও থাকবেন।
সরকারি হাসপাতালে এই কার্ড দেখালে এক লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন তাঁরা। ক্যান্সার, কিডনির অসুখের মতো কঠিন রোগ হলে বেসরকারি হাসপাতালেও এই স্বাস্থ্য বিমার স্মার্ট কার্ড দেখিয়ে চিকিৎসা পাওয়া যাবে। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পাবেন তাঁরা। এই প্রকল্পের আওতায় পঞ্চায়েত ও পুরসভার জন প্রতিনিধিরা, স্বনির্ভর গোষ্ঠী, অঙ্গনওয়াড়ি–আশা কর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার, শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী, কেবল টিভি অপারেটর, হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, পরিচারিকা, হকার, শৌচালয় কর্মী, রিকশা চালক সকলেই পড়ছেন।
তারকেশ্বরের মঞ্চ থেকে সেই স্বাস্থ্য বিমার স্মার্টকার্ডের সুযোগ সুবিধার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তারকেশ্বরে রানি রাসমনি কৃষি কলেজের শিলান্যাস করেন তিনি। আরামবাগের বন্যা নিয়ন্ত্রণে ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। একাধিক সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে এদিন সচেতন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে শস্য বিমা নিয়ে কেন্দ্র যে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তারও কড়া সমালোচনা করেছেন। কেন্দ্র শস্যবিমার কোনও টাকাই দেয় না।
পুরো টাকাটাই রাজ্য সরকার দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে যে রাজ্য সরকার হাত তুলে নিয়েছে তা আরও একবার জানিয়ে মমতা বলেছেন, ‘বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বলে কিছু নেই। যাঁরা কাগজ পাঠাচ্ছে, সেগুলো ছিঁড়ে ফেলেদিন। কারণ রাজ্য সরকার সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। ছবি- দেশের সময়।