দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল বিপ্লব দেবের পুলিশ।রবিবারের ঘটনায় খোয়াই থানায় মামলা হয়েছে বলে খবর।
জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
পাঁচ জন তৃণমূলের নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ত্রিপুরায়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তম কলুই, যিনি ত্রিপুরায় দেবাংশুদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এদিন সকালে আগরতলার পথে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
উল্লেখ্য, গত শনিবার। দলীয় কাজে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তর মতো তৃণমূল নেতানেত্রীরা। অসম-ত্রিপুরা রাজ্য হাইওয়েতে তাঁদের গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাথর। পাথরের আঘাতে মাথাও ফেটে যায় একজনের।
কিন্তু পুলিশ কোনওভাবেই তাদের সাহায্য করেনি বলে দাবি তৃণমূলের। বরং যারা হামলা চালিয়েছে পুলিশ তাদের হয়েই কাজ করছিল বলে অভিযোগ। এরপর রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের ১৪ জন নেতা কর্মীকে।
তৃণমূল নেতা নেত্রীদের গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ত্রিপুরা ও বঙ্গের রাজনীতিতে। তড়িঘড়ি পরদিনই ত্রিপুরায় পৌঁছান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনও। খোয়াই থানায় পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। কখনও ধৃতদের ছেড়ে দেওয়া, কখনও আবার জামিন অযোগ্য ধারাগুলি তুলে নেওয়ার দাবি জানান হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
এবার সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই অভিষেক, কুণাল, ব্রাত্য ও দোলার বিরুদ্ধে এফআইআর করল ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূল নেৃতৃত্ব বেআইনি দাবি জানিয়েছেন, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে অভদ্র আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআর-এ।
একইসঙ্গে পুলিশ আধিকারিকের ঘরে চিৎকার, ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগও এফআইআর-এ করেছে পুলিশ।
পুলিশের অভিযোগ, গ্রেফতার করা ব্যক্তিদের ছাড়া সম্ভব নয়, জানানোর পরেও দাবিতে অনড় ছিলেন অভিষেকরা। এমনকি খোয়াই থানার পুলিশের সঙ্গে তাঁরা খারাপ ব্যবহারও করেছেন। থানায় চেঁচামেচি করেছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশকে বিজেপির দালাল বলে অপমান করেছেন অভিষেকরা। পুলিশের আরও অভিযোগ, তাঁদের কাজে বাধা দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার দেরি হয়েছে তার জন্য। কিন্তু বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্য পুলিশ তাঁদের উপর বলপ্রয়োগ করেনি। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।
এখন দেখার পুলিশের এই এফআইআর-কে কেন্দ্র করে কোন দিকে মোড় নেয় ত্রিপুরার রাজনীতি।