সম্পাদকীয়- কাশমীর উপত্যকায় আবার জঙ্গি হানায় যে ভাবে ভারতীয় সেনার ৪৪জন জাওয়ানের মর্মাম্তিক মৃত্যু হয়েছে তা আমাদের মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দগ্ধ করছে।এই সব সেনা জাওয়ানের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোন ভাষা আমাদের জানা নেই।তবু সমস্ত দেশের পক্ষ থেকে আমরাও তাঁদের পরিবারের মানুষজনদের সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছি।একই সঙ্গে বোধহয় আমাদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে যে আমাদের দেশের নেতা ও মন্ত্রীরা আমাদের দেশের এই সব সেনা জাওয়ানদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত কিনা?নিরাপত্তার কাছে যে সব সেনা-জাওয়ানরা থকেন তাঁদের কাজ যে যথেষ্ট ঝুঁকি সাপেক্ষ তা আমরা সবাই মানি,আর সেই জন্যই তো আমরা চাই এই সব সেনাদের জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে সরকার সরকার আরও উদ্যোগি ও সচেতন থাকুক।যে ভাবে আত্মঘাতি বিষ্ফরক নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী একেবারে সোজা আমাদের সেনাদের গাড়িতে এসে ধাক্কা দিল তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না,নিরাপত্তা বলয়ে বড় রকমের খামতি ছিল।এই ধরণের হামলা হওয়ার আশঙ্কা হতে পারে কিনা তা দেখার জন্য ইনটেলিজেন্স বিভাগের আধিকারিকদের নিয়োগ রাখা হয়,তাঁরা এ বিষয়ে যাবতীয় খবর জোগাড় করে সেনা বাহিনীকে সতর্ক করে দেয়।এ ক্ষেত্রে কেন সেই বিভাগ আগে থেকে খবর দিতে পারল না সে বিষয়টা ভেবে দেখা দরকার।কেন দেশের মধ্যে এত বড় একটা কান্ড ঘটিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী বেরিয়ে যেতে পারল,দেশের নিরাপত্তা বলয়ের কোথায় ত্রুটি আছে তা খুঁজে বার না করতে পারলে এদেশের সেনাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা মুশকিল হয়ে উঠবে।মাঠে-ময়দানে নেমে যে সেনারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার লড়াই করেন তাদের নিরাপত্তা দিতে যাবতীয় জঙ্গি-কার্যকলাপের তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য যে বিভাগ রয়েছে এক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতাই চুড়ান্ত বলে সামনে আসছে।দেশের নিরাপত্তার জন্য যে সব সংস্থা নানা বিধ তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত থাকেন,তাদের আধিকারিকদের মনে রাখা উচিত,তাদের কাজে কোন খামতি হলে মৃত্যু দিয়ে সেই খামতির দায় তাদের মেটাতে হয় না,মেটাতে হয় মাঠে-ময়দানে পাহাড়ায় থাকে যে সব সেনা-জাওয়ান তাঁদের।জঙ্গিদের কাজকে ঘৃণা জানাবার পাশাপাশি,আমাদের তাই এই ঘটনার জন্য নিজেদের দেশের নিরাপত্তার ব্যর্থতা কোথায় আছে তা খতিয়ে দেখাও জরুরি।
মীর উপত্যকায় আবার জঙ্গি হানায় যে ভাবে ভারতীয় সেনার ৪৪জন জাওয়ানের মর্মাম্তিক মৃত্যু হয়েছে তা আমাদের মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দগ্ধ করছে।এই সব সেনা জাওয়ানের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার কোন ভাষা আমাদের জানা নেই।তবু সমস্ত দেশের পক্ষ থেকে আমরাও তাঁদের পরিবারের মানুষজনদের সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছি।একই সঙ্গে বোধহয় আমাদের প্রশ্ন করার সময় এসেছে যে আমাদের দেশের নেতা ও মন্ত্রীরা আমাদের দেশের এই সব সেনা জাওয়ানদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিই চিন্তিত কিনা?নিরাপত্তার কাছে যে সব সেনা-জাওয়ানরা থকেন তাঁদের কাজ যে যথেষ্ট ঝুঁকি সাপেক্ষ তা আমরা সবাই মানি,আর সেই জন্যই তো আমরা চাই এই সব সেনাদের জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দিতে সরকার সরকার আরও উদ্যোগি ও সচেতন থাকুক।যে ভাবে আত্মঘাতি বিষ্ফরক নিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী একেবারে সোজা আমাদের সেনাদের গাড়িতে এসে ধাক্কা দিল তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না,নিরাপত্তা বলয়ে বড় রকমের খামতি ছিল।এই ধরণের হামলা হওয়ার আশঙ্কা হতে পারে কিনা তা দেখার জন্য ইনটেলিজেন্স বিভাগের আধিকারিকদের নিয়োগ রাখা হয়,তাঁরা এ বিষয়ে যাবতীয় খবর জোগাড় করে সেনা বাহিনীকে সতর্ক করে দেয়।এ ক্ষেত্রে কেন সেই বিভাগ আগে থেকে খবর দিতে পারল না সে বিষয়টা ভেবে দেখা দরকার।কেন দেশের মধ্যে এত বড় একটা কান্ড ঘটিয়ে জঙ্গি গোষ্ঠী বেরিয়ে যেতে পারল,দেশের নিরাপত্তা বলয়ের কোথায় ত্রুটি আছে তা খুঁজে বার না করতে পারলে এদেশের সেনাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা মুশকিল হয়ে উঠবে।মাঠে-ময়দানে নেমে যে সেনারা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার লড়াই করেন তাদের নিরাপত্তা দিতে যাবতীয় জঙ্গি-কার্যকলাপের তথ্য তাদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য যে বিভাগ রয়েছে এক্ষেত্রে তাঁদের ব্যর্থতাই চুড়ান্ত বলে সামনে আসছে।দেশের নিরাপত্তার জন্য যে সব সংস্থা নানা বিধ তথ্য সংগ্রহ করার কাজে ব্যস্ত থাকেন,তাদের আধিকারিকদের মনে রাখা উচিত,তাদের কাজে কোন খামতি হলে মৃত্যু দিয়ে সেই খামতির দায় তাদের মেটাতে হয় না,মেটাতে হয় মাঠে-ময়দানে পাহাড়ায় থাকে যে সব সেনা-জাওয়ান তাঁদের।জঙ্গিদের কাজকে ঘৃণা জানাবার পাশাপাশি,আমাদের তাই এই ঘটনার জন্য নিজেদের দেশের নিরাপত্তার ব্যর্থতা কোথায় আছে তা খতিয়ে দেখাও জরুরি।