দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃবজ্রপাতের জেরে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হল৷ এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের৷ বজ্রাঘাতে রাজস্থানে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন, মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৭৷
শনিবার থেকেই প্রবল ব্রজপাতের জেরে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরের পর মৃত্যুর খবর আসতে থাকে৷ আজ সকাল পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৪১৷ এর মধ্যে শুধুমাত্র প্রয়াগরাজ জেলাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ জন৷ কানপুর দেহাত এবং ফতেপুরে পাঁচ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন৷ কৌসাম্বি, ফিরোজাবাদ, উন্নাওয়ের মতো জেলাগুলি থেকেও মৃত্যুর খবর এসেছে৷ মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ প্রবল বৃষ্টিতে যাঁদের গবাদি পশুর ক্ষতি হয়েছে, তাঁদেরকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে যোগী প্রশাসন৷
উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷
The Prime Minister was briefed about the loss of lives and damages due to lightning in parts of Uttar Pradesh. An ex-gratia of Rs. 2 lakh each from PMNRF would be given to the next of kin of the deceased and Rs. 50,000 would be given to the injured.
— PMO India (@PMOIndia) July 12, 2021
এদিকে বাংলাতেও বর্ষার শুরু থেকেই দাপিয়ে ব্যাটিং করছে মৌসুমী বায়ু। ঝড়বৃষ্টি লেগেই আছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অস্বস্তিও। এদিন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানাগিয়েছে।
আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি বাড়বে, দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে গরম থেকে এখনই রেহাই মিলবে না। বৃষ্টি হলেও বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
কলকাতায় অবশ্য এদিন সকাল থেকেই চারপাশ শুকনো। আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি তেমন হয়নি। পরের দিকে বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টি হলেও হতে পারে, জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
সকালে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। মঙ্গল আর বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে কোচবিহার জলপাইগুড়িতেও।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজস্থান থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড়, ওড়িশার ওপর দিয়ে এই অক্ষরেখা বিস্তৃত। এর ফলেই অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে আগামী দিনে এই নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করবে। যার ফলে গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টি বাড়বে।
উত্তর ভারতেও ফের সক্রিয় হয়েছে মৌসুমী বায়ু। ১৯ জুনের পর থেকে অমৃতসর আম্বালার উপরে তা থমকে গিয়েছিল। দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং রাজস্থানের বাকি অংশে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাবে বলে খবর। গোটা ভারত জুড়েই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।