দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবাসরীয় তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে বড় দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব সভাপতি থেকে এখন তিনি দলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক। সংগঠনে ঝাঁকুনির চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার দুপুরে নাকতলায় দলের মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ছুটলেন অভিষেক।
এদিন পার্থবাবুর বাড়িতে যান তৃণমূলের নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অনেকের মতে, অভিষেক আসলে দলের মধ্যে বার্তা দিতে চাইলেন, প্রবীণদের পরামর্শ নিয়ে চলবেন নবীনরা। বর্ষীয়ানরা ব্রাত্য নন।
একুশের অভাবনীয় সাফল্যের অন্যতম অংশীদার এবং জয়ের অন্য কাণ্ডারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য রাজনীতির ময়দানে আলোচিত সেই তত্ত্বকে মান্যতা দলীয় বৈঠকে। দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই এবার দলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে, এদিন পার্থর বাড়িতে যাওয়া একদিকে যেমন কৌশলগত তেমন ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের বিজ্ঞাপনও বটে। অভিষেক হয়তো বার্তা দিতে চাইলেন, নবীন-প্রবীণ নিয়ে মিলেমিশেই যেন দল চলে।
সাক্ষাত শেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিষেককে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। নতুন করে আশীর্বাদে নেওয়ার কিছু নেই। ওর সঙ্গে আমাদের আশীর্বাদ আছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেক এখন অন্যতম মুখ। সাংগঠনিক বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে অভিষেকের সঙ্গে। ও দলকে শক্তিশালী করছে।’ বিকেলে ৫টায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতে এবং সন্ধেবেলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও যাবেন দলের নয়া সাধারণ সম্পাদক।
পার্থবাবু দীর্ঘদিনের রাজনীতিক। বাম জমানায় ২৩৫ আসনে জেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের আমলে তিনি ছিলেন বিরোধী দলনেতা ছিলেন তিনি। হতে পারে এটা শুরু। এরপর হয়তো সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীদের বাড়ি গিয়েও আশীর্বাদ নেবেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
অনেকের মতে রাহুল গান্ধী যেমন কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর পি চিদম্বরম, আহমেদ পটেলদের পরামর্শ নিয়ে দল চালানোর চেষ্টা করেছিলেন, এক্ষেত্রেও তেমন।
একুশের ভোটে অভিষেকের যা ভূমিকা দেখা গিয়েছে তাতে তিনিই এখন দলে নম্বর টু। গতকালের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়েছে তৃণমূল ভবন। কোনও রাজনৈতিক দলে প্রজন্ম বদলের সময় এমন হয়। তখন নবীনরাই বাড়তি দায়িত্ব নেন ক্ষত তৈরি হলে প্রলেপ দিতে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় তেমন কোনও ক্ষত তৈরি না হলেও নেতা হিসেবে দৌত্য শুরু করে দিলেন অভিষেক।