দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা মতো বাংলায় এ বার ৮ দফায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ৪ দফার ভোট গ্রহণ হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ৪ দফার ভোট। কিন্তু এরই মধ্যে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো না হলেও বাংলাতেও লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড। তাই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, ৪ দফার ভোট কমিয়ে কি ১ দফায় নির্বাচন করিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন? তাই যদি হয়, তা হলে কবে হবে ভোট গ্রহণ!
জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, চার দফার ভোট গুটিয়ে ১ দফায় সেরে ফেলার ব্যাপারে কোনও আলোচনাই হয়নি। তেমন সম্ভাবনা খুবই কম। পঞ্চম দফার ভোট গ্রহণ হবে ১৭ এপ্রিল। তা নির্ধারিত দিনেই হবে। বাকি ৩ দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২২, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল। সেই নির্ঘণ্ট বদল হচ্ছে না।
তবে কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, ভোটের প্রচারে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি যাতে কোভিডের বিধিনিষেধ মেনে চলে সে ব্যাপারে সতর্ক করবে নির্বাচন সদন। বড় জনসভা না করে সামাজিক দূরত্ব রেখে ছোট সভা করা, সভায় উপস্থিতদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা ইত্যাদি সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে কমিশনের তরফে অনুরোধ করা হবে।
কমিশনের এক অফিসারের কথায়, বাংলায় একাধিক দফায় ভোট করানোর উদ্দেশ্য হল নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করা। যাতে ভোটের দিন এলাকায় যথাযথ সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ দিয়ে ভোট করানো যায়। তা ছাড়া কোভিডের কারণে বুথে সমস্ত রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমনকি ইভিএমের বোতাম টেপার জন্য ট্রান্সপারেন্ট গ্লাভস দেওয়া হচ্ছে ভোটারদের। সেই সঙ্গে মাস্ক পরা, ভোটের লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। ফলে সমস্যা সেখানে হচ্ছে না। সমস্যা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলির সভা ও রোড শো-তে। তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলেই সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভাবে ভোট করানো সম্ভব।
কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই বড় ঘোষণা করেছে সিপিএম। তারা জানিয়েছে, বড় জনসভা তারা আর করবে না। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও জানিয়েছেন, ভোট এক দফায় হলে তাঁদের কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু এ ব্যাপারে যুযুধান দুই দল বিজেপি ও তৃণমূল নীরব রয়েছে। নববর্ষের প্রথম দিনও রোড শো করেছেন বিজেপি-তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা। তাতে কোভিড বিধি মেনে চলার মতো বলতে গেলে কিছুই নজরে পড়েনি।