ভোটের মুখে দলবদলের হিড়িক শুরু বনগাঁ মহকুমায়

0
512

দেশের সময়, বনগাঁ: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের হিড়িক শুরু হয়েছে বনগাঁ মহকুমায়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একদল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন। পাশাপাশি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন আর একদল। এমনই দাবি তৃণমূল এবং বিজেপি দুই নেতৃত্বের।

২৪ ঘন্টা আগে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ, গোবিন্দ দাসদের হাত ধরে এই বিজেপি নেতা কর্মীরা তৃণমূলের গাইঘাটা অঞ্চলের দলীয় কার্যালয়ে বসে যোগদান করেন। তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের নেতৃত্বরা।

দলত্যাগীরা দাবি করেন, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রে যাকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবি ছিল স্বচ্ছ ইমেজের এলাকার মানুষকে এই কেন্দ্রে দাঁড় করানো হোক। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব সেই দাবীকে মান্যতা দেয়নি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান তারা।

এই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন গাইঘাটা অঞ্চলের প্রায় ২০০ জন তৃণমূল নেতা, কর্মী। বুধবার রাতে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শান্তনু ঠাকুর। দলত্যাগীদের বক্তব্য, তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এই দলে এখন আর সম্মানের সঙ্গে কাজ করা যাচ্ছে না। আর তাই তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন‌।

এ ব্যাপারে সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, আজ যারা আমাদের দলে যোগদান করলেন তারা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ। তাই বিজেপির হাত শক্ত করে সুব্রত ঠাকুরকে জেতাতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অনৈতিক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাই দলের কর্মীরা তাকে মেনে নিতে পারছেন না। তারা তৃণমূলের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে চান বলে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। পাশাপাশি যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি করছে বিজেপি সেই কর্মীরা তৃণমূলের কেউ না।

Previous articleতৃণমূলের রোড-শোতে মেজাজ হারালেন জয়া বচ্চন, কেন জানুন
Next articleকরোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন মোদী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here