দেশের সময়: বনগাঁ মহকুমার তিনটি বিধানসভা আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। সেখানে গাইঘাটা, বনগাঁ উত্তর এবং বাগদা কেন্দ্রের জন্য যথাক্রমে সুব্রত ঠাকুর কীর্তনীয়া এবং বিশ্বজিৎ দাসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে আর এই ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রের পাশাপাশি বনগাঁ মহকুমার ৪ আসনের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে দ্বিধায় ছিল বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব দিন কয়েক আগে শুধুমাত্র বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে স্বপন মজুমদার এর নাম ঘোষণা করে। বাকি তিন আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণার ক্ষেত্রে দ্বিধা থেকেই যায় বিজেপির।
অবশেষে বাকি তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হলো। গাইঘাটা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত সুব্রত ঠাকুর সম্পর্কে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এর বড় ছেলে। এর আগে তিনি লোকসভা নির্বাচনে নিজের জ্যাঠা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এই আসনে ঠাকুরবাড়ির কোনও সদস্যকে প্রার্থী করার জন্য মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং পরোক্ষে শান্তনু ঠাকুর বিজেপি নেতৃত্বের উপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন।
দিন দুই আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মঞ্জুল। আর তারপরেই কি চাপে পড়ে সুব্রত ঠাকুরকে প্রার্থী করল বিজেপি ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।অন্যদিকে, বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের জন্য প্রথমদিকে পাল্লা ভারী ছিল এই কেন্দ্রের দুবারের বিধায়ক বিশ্বজিৎ এর। পরে সেখানে আরও কয়েকজনের নাম উঠে আসে। দলীয় কোন্দলে শেষ পর্যন্ত বিশ্বজিৎ দাসের বদলে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে পেশায় ব্যবসায়ী অশোক কীর্তনীয়াকে। বিশ্বজিৎ দাসকে প্রার্থী করা হয়েছে বাগদা কেন্দ্রে।
বাগদা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে অন্যতম দাবিদার ছিলেন এলাকার দীর্ঘদিনের জনপ্রতিনিধি দুলাল বর। তাঁকে অবশ্য এখনও কোনও কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়নি। তাতে কি দুলাল বরের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ? সেই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে উঠেছে। তবে বনগাঁ কেন্দ্র বিশ্বজিৎ দাসের কাছে হাতের তালুর মতো পরিচিত থাকা সত্ত্বেও সেই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী না করে বাগদায় প্রার্থী করায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিশ্বজিৎ দাস এর অনুগামীরা। এখন দেখার নির্বাচনী লড়াইয়ে এই তিন প্রার্থী কতটা নিজেদেরকে সফল করে তুলতে পারেন।