দেশের সময়, হাবরা: ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা প্রতিশ্রুতি দেন, সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ দেখতে পান এলাকার মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রীর ১৫ লক্ষ টাকা করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। এখানেই পার্থক্য।’
সোমবার বিকালে হাবড়া পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সভায় এই মন্তব্য করলেন হাবড়া বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, যুবশ্রী, সবুজসাথী, সমব্যথী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথীর উদাহরণ টেনে এদিন জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জী যা প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেন। এটা থেকেই রাজ্যের মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার পরিচয় পাওয়া যায়। আর দেশের প্রধানমন্ত্রী সাতবছর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, দেশের সমস্ত নাগরিকের অ্যাকাউন্টে পনেরো লক্ষ টাকা করে ঢুকিয়ে দেবেন, বছরে দু কোটি বেকারের চাকরি দেবেন।
আপনারাই বলবেন, কেউ কি পনেরো লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন? এই এলাকায় কেন্দ্র সরকারের কেউ চাকরি পেয়েছেন? পাননি। আসল কথা হলো নরেন্দ্র মোদী এইরকম ভাওতা দেন। রেল, ব্যাঙ্ক, এলআইসির মতো সংস্থাগুলি বিক্রি করে দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। তাই তো সবাই ওনাকে নরেন্দ্র মোদী না বলে বেচারাম মোদী বলে ডাকেন। আপনারাই বিচার করবেন। কে আপনাদের কথা ভাবেন? নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি প্রতিশ্রুতিই থেকে যায়। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবে চোখে দেখতে পান এ রাজ্যের মানুষ। তাই তো আমি বলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সর্বযুগের, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী।’