উত্তরাখণ্ডেদেবভূমিতে হিমবাহ ভাঙা বন্যায় মৃত অন্তত ১৪, নিখোঁজ ১৭০,বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, এখনও নিখোঁজ বহু, জোরকদমে উদ্ধার কাজ চলছে, ধুয়েমুছে সাফ তপোবন বাঁধ

0
870

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রকৃতির কাছে ফের অসহায় আত্মসমর্পণ দেবভূমির। রবিবার জোশীমঠে নন্দাদেবীর হিমবাহ ফাটা জলের তোড়ে মারাত্মক ধস নামে উত্তরাখণ্ডে। প্রবল বেগে বরফগলা জলের সঙ্গে কাদা, পাথর, নুড়ির স্রোত পাহাড় বেয়ে নেমে এসে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সর্বস্ব। স্যাটেলাইট চিত্র বলছে হিমবাহ ফাটা জলের তোড়ে ধুয়েমুছে সাফ তপোবন। ক্ষতিগ্রস্থ জোশীমঠ সংলগ্ন অঞ্চল।

বাড়ল মৃতের সংখ্যা। তপোবন ও করণপ্রয়াগের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধার ১৪ জনের দেহ। এখনও নিঁখোজ কমপক্ষে ১৭০ জন। NDRF-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ITBP জওয়ানরাও। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর জওয়ানেরাও।

গতকাল হিমবাহের স্রোতে চামোলির জোশীমঠে টানেলের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অবিশ্বাস্যভাবে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় ১৬ জন কর্মীকে। একেই বলে মিরাক্যাল! এমন ম্যাজিকের আশাতেই বুক বেঁধে আরও নিখোঁজদের পরিবার। এদিন সকালে JCB মেশিন এনে দ্বিতীয় টানেলের মুখ পরিষ্কার করে আটকে পড়া বাকি মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে NDRF। এই কাজে মোতায়েন ৩০০ ITBP জওয়ানও। সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষের ওই টানালে আটকে থাকার রিপোর্ট মিলেছে।

উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার সাধারণ মানুষের কাছে প্যানিক না ছড়িয়ে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হিমবাহের স্রোতের সঙ্গে নেমে আসা বিপুল পরিমাণ বোল্ডার ও নুড়ি পাথরের ঘায়ে তপোবনের রৌনি পাওযার প্রজেক্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সেখানে দুই প্রকল্পের কাজ চলছিল। আচমকা ঘটা এই বিপর্যয়ে খোঁজ মিলছে না সেখানকার ১৫৩ জন শ্রমিকের। দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টার সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছেন উদ্ধারকারীরা। রাতেও প্রাণের সন্ধান পাওয়ার আশায় কাজে লাগানো হয় পুলিশ কুকুরকে। আকাশপথে উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনা Mi-17 & ALH হেলিকপ্টার। বিধ্বস্ত অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।

Previous articleমেঘ বিদায়,শীতের ইনিংস প্রায় শেষের পথে,আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস
Next articleভোটের মুখে নয়া চমক ‘আমি দু’দিনে ৭২ হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা ও উদ্বোধন করব’ঘোষণা মমতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here