দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃকামিংসের বলে চেতেশ্বর পুজারা আউট হতেই ফিরেছিল অ্যাডিলেডের স্মৃতি। ফের ভরাডুবি হবে না তো, আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই আশঙ্কা সত্যি হতে দিলেন না অধিনায়ক অজিঙ্ক্যা রাহানে ও তরুণ শুবমান গিল। তাঁদের ব্যাটেই অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারাল ভারত। মেলবোর্ন জিতে সিরিজ সমতা ফেরালেন রাহানেরা।
আগের দিন ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে এদিন ব্যাটিং শুরু করেছিলেন গ্রিন ও কামিংস। বেশ সুন্দর একটা পার্টনারশিপ গড়লেন তাঁরা। বিশেষ করে বলতে হয় গ্রিনের কথা। সদ্য জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যথেষ্ট পরিণত দেখাল তাঁকে। ২২ রানের মাথায় কমিংস আউট হলেও তারপর স্টার্কের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন গ্রিন।
ব্যক্তিগত ৪৫ রানের মাথায় যখন গ্রিন আউট হলেন তখন অস্ট্রেলিয়ার লিড কিছুটা বেড়েছে। অবশ্য তারপর আর বেশিক্ষণ টিকে থাকেনি অজি ব্যাটিং। ২০০ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। এদিনের চারটি উইকেটের মধ্যে দুটি সিরাজ ও একটি করে উইকেট নিলেন অশ্বিন, বুমরাহ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ময়ঙ্কের উইকেট হারায় ভারত। স্টার্কের বলে তিনি ফিরে যাওয়ার পরেই কমিংসের বলে আউট হন পুজারা। কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতোই ছন্দে ছিলেন গিল। বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। তাঁকে সাথ দেন রাহানে। ১৫.৫ ওভারেই ৭০ রান তুলে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় ভারত। গিল ৩৫ ও রাহানে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন।
এদিনের জয়ের ফলে চার ম্যাচের টেস্ট এখন ১-১ ফলে রয়েছে। এরপরেই টেস্ট সিডনিতে। সেই টেস্টে ভারতীয় দলে ঢুকতে পারেন রোহিত শর্মা। অন্যদিকে অস্টেলিয়া দলে ডেভিড ওয়ার্নারের ঢোকার কথা। এখন দেখার দ্বিতীয় টেস্টের এই ধারাবাহিকতা সিডনিতেও রাহানেরা ধরে রাখতে পারেন কিনা।
বিরাট–সামি হীন টিম ইন্ডিয়া জিতে নিল বক্সিং ডে টেস্ট। আট উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে। সাড়ে তিন দিনেই হয়ে গেল খেল খতম। যে দল অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, সেই দলই যে মেলবোর্নে এভাবে প্রত্যাবর্তন করবে, তা ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও ভাবেননি। যার জন্য অনেকটাই কৃতিত্ব প্রাপ্য অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের। একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া এদিন ১৩৩/৬ নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করেছিল। যা থামল ২০০ রানে। ১৫৬ রানের মাথায় দিনের প্রথম ধাক্কা খায় অসিরা। বুমরার বলে ফিরে যান কামিন্স (২২)। ক্যামেরুন গ্রিন করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ (৪৫)। তাঁকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। নাথান লায়নকেও ফেরান তিনি। হ্যাজলেউডকে তুলে নেন অশ্বিন। অসিরা এগিয়ে ছিল মাত্র ৬৯ রানে। জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার দরকার ছিল মাত্র ৭০। যা দু’উইকেট হারিয়ে তুলে নিলেন রাহানেরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সফল বোলার মহম্মদ সিরাজ। পান তিন উইকেট। ম্যাচে তাঁর শিকার পাঁচ। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেলেন বুমরা, অশ্বিন, জাদেজা। বুমরার ম্যাচে হল ৬ উইকেট। আর অশ্বিনের পাঁচ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের সফল অভিষেককারী শুভমান গিল। অপরাজিত থাকলেন ৩৫ রান করে। রাহানে অপরাজিত থাকলেন ২৭ রানে। আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৫) ও চেতেশ্বর পুজারা (৩)।
চার টেস্টের সিরিজ এখন ১–১। তৃতীয় টেস্ট ৭ জানুয়ারি। জয়ের মধ্যে একমাত্র কাঁটা হয়ে থাকল উমেশ যাদবের কাফ মাসলের চোট। তিনি তৃতীয় টেস্টে অনিশ্চিত।