দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারী আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পরই তৃণমূল জানিয়েছিল, ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গিয়ে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু দল ছাড়লেও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের জনভিত্তি যে অটুট, সেই বার্তা দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু শাসক দল সূত্রে এখন খবর, ওই দিন নন্দীগ্রামে যাবেন না দিদি। পরিবর্তে সভা করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে আগেই সভা ডেকে রেখেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু দিদির সভা ঘোষণা হতেই, শুভেন্দু দিন পরিবর্তন করেন। গত বৃহস্পতিবার কাঁথির সভা থেকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শুভেন্দুকে ঠেকাতে জোড়ায় জোড়ায় মন্ত্রী পাঠানো হচ্ছে। তা দিয়ে যখন হচ্ছে না, তখন মুখ্যমন্ত্রী এবার নিজেই আসছেন। এখানেই না থেমে শুভেন্দু বলেছিলেন, “আপনি ৭ তারিখে পুলিশ দিয়ে লোক জড়ো করবেন। আমি ৮ তারিখে ভালবাসা দিয়ে লোক জোগাড় করব।”
এখন কৌতূহলের বিষয় হল, ৭ তারিখ নন্দীগ্রামে কর্মসূচি কেন বাতিল করলেন দিদি? দু পা এগিয়ে কেন এক পা পিছিয়ে আসা হল। তার স্পষ্ট কোনও কারণ দলের তরফে এখনও দেওয়া হয়নি। তবে অনেকের মনে করছেন, শুভেন্দু দল ছাড়ার পর হয়তো হুজুগের মাথায় দিদির সভা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন হয়তো ভেবে দেখা হচ্ছে যে এতে শুভেন্দুকেই গুরুত্ব দেওয়া হবে। আবার কারও কারও মতে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর তুল্যমূল্য জমায়েত করার সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই দলের অন্য কারও। ভিড় করতে গেলে অন্য জেলা থেকেও লোক নিয়ে যেতে হতে পারে।
তবে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এ যাত্রায় মুখোমুখি লড়াই না হলেও পরে তৃণমূল নেত্রী যখনই মেদিনীপুরের কোথাও সভা করবেন, তার পর দিনই সভা হবে দাদার। কারণ, এ বার আর এক তরফা কিছু হবে না। কথার পিঠে কথা হবে।