পুলিশ লক আপে সন্ধ্যা পৌনে আটটা থেকে ভোর তিনটে পর্যন্ত বাবা-ছেলেকে মেরেছিল পুলিশ: জানতে পারলেন গোয়েন্দারা

0
1251

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃলকডাউনের সময় নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট নিজেদের মোবাইলের দোকান খোলা রেখেছিল বাবা–ছেলে। সেজন্য তামিলনাড়ুর সান্থানকুলাম থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে পুলিশ রাতভর বেধড়ক মারে দু’‌জনকে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় দু’‌জনের। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ঘটনার তদন্তে নেমে ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করল সিবিআই। চার্জশিটে জানাল, ১৯ জুন সন্ধে ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত জয়রাজ (‌৫৯)‌ আর ছেলে বেনিকস (‌৩১)‌কে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশ। উদ্দেশ্য ছিল, ‘‌উচিত শিক্ষা দেওয়া’‌। এতটাই মেরেছিল, যে সাথানকুলাম থানার দেওয়ালে রক্ত ছিটে এসে লেগেছিল। বেনিকসকে অন্তর্বাস খুলিয়ে সেই রক্তের দাগ মুছতে বাধ্য করেছিল পুলিশ। ফরেনসিক তদন্তে সে তথ্য জানা গেছে।

১৯ জুন প্রথমে জয়রাজকেই তুলে নিয়ে গেছিল পুলিশ। বাবার খোঁজে থানায় পৌঁছন বেনিকস। তখন তাঁকেও আটক করে নেয় পুলিশ। তার পরই শুরু হয় মারধর। সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, বাবা–ছেলে কোনও লকডাউন নীতিই ভঙ্গ করেননি। তাঁদের অকারণে হেনস্থা করেছিল পুলিশ। নিজেদের দোষ ঢাকতে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর–ও করেছিল পুলিশ। 

চার্জশিটে সিবিআই আরও জানিয়েছে, জয়রাজ বারবার জানিয়েছিলেন তাঁর উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস রয়েছে। তাও রেয়াত করেনি পুলিশ। বাবা–ছেলেকে জামা খুলিয়ে শুধু অন্তর্বাস পরিয়ে হাত–পা বেঁধে মেরেছিল। পিঠে, কোমড়ে, নিতম্বে, হাতে, পায়ে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তে ধরা পড়েছে। এই মারে সহকর্মীদের প্ররোচনা দিয়েছে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী শ্রীধর। 

পরের দিন কোর্টে পেশ করার সময় রক্তে ভিজে গেছিল জয়রাজ ও বেলিকসের জামা। দু’‌– দু’‌বার সেই জামা খোলানো হয়েছে। পরে সেগুলো হাসপাতালের আবর্জনা পাত্রে ফেলে দিয়েছিল পুলিশ। ২২ জুন কয়েক ঘণ্টার অন্তরায়ে মৃত্যু হয় বাবা–ছেলের।

Previous articleবিজয়ার পোস্টে অমিতাভের বাঙালিয়ানা
Next articleফেসবুক ছাড়লেন আঁখি দাস, রাজনৈতিক পোস্ট নিয়ে বিতর্কে জড়ান ফেসবুক ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির প্রধান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here