দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাড়ল বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাইকুল্লা জেলেই থাকবেন রিয়া চক্রবর্তী। তাঁর বিচারবিভাগীয় হেপাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছিল। কিন্তু ছাড়া হল না। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের এক আদালত জানিয়ে দিল, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে রিয়া চক্রবর্তীকে। তাঁর ভাই শৌভিক এবং তিনি বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন। বুধবার সেই মামলার শুনানি।
৯ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় রিয়াকে। অভিযোগ, সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন তিনি। তাঁর ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনসিবি রিয়াকে এই মাসের শুরুতে টানা তিন দিন জেরা করে। তার পর জানায়, ‘একটি মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য’ তিনি।
১৪ জুন বান্দ্রার ভাড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। পাটনার একটি থানায় সুশান্তের বান্ধবী রিয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন বাবা কে কে সিং। অভিযোগ, সুশান্তের টাকা নয়ছয় করেছেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এই মামলায় তদন্তভার সিবিআই–কে দেন। সিবিআই–এর পাশাপাশি ইডিও তদন্তে নামে।
এর পর রিয়ার একটি হোয়্যাটস্অ্যাপ চ্যাট থেকে মাদক–যোগের বিষয়টি উঠে আসে। তদন্তে নামে এনসিবি। অভিযোগ ওঠে, রিয়া সুশান্তের জন্য মাদক জোগার করে দিতেন। রিয়া, ভাই শৌভিক, সুশান্তের দুই সহকারী সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে এনসিবি। রিয়ার জামিন নাকচ করেছে মুম্বইয়ের এক আদালত। অভিনেতা সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরকেও জেরার জন্য সমন পাঠাবে তারা।
উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিনদিন ধরে রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করছিলেন এনসিবির তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ৬ তারিখ সাতসকালে রিয়ার বাড়িতে সমন পাঠায় নারকোটিক্স ব্যুরো। সেদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এনসিবির দফতরে হাজিরা দেন রিয়া। সন্ধে পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরেরদিন ৭ সেপ্টেম্বর সোমবার ফের তাঁকে তলব করে এনসিবি।
সেদিনও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় রিয়াকে। এরপর ৮ তারিখ মঙ্গলবার তৃতীয়বারের জন্য এনসিবির দফতরে যান রিয়া। সেদিন সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বেলা গড়ালে তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স ব্যুরো।
সূত্রের খবর, গ্রেফতারের আগে ভাই শৌভিকের মুখোমুখি বসিয়ে রিয়াকে জেরা করেন এনসিবির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সে সময় নাকি ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। জানান যে সুশান্তের জন্য মাদকের জোগাড় করতেন তিনিই। অনেকসময় ভাইকেও বলতেন। তবে তিনি যা করেছেন সুশান্তের জন্য করেছেন।
প্রসঙ্গত, রিয়া ছাড়াও সুশান্তের মৃত্যুতে মাদক যোগের ঘটনায় আরও অনেককেই গ্রেফতার করেছে নারকটিক্স ব্যুরো। রিয়ার ভাই শৌভিক, সুশান্তের ফ্ল্যাটের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং প্রয়াত অভিনেতার রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তকেও গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাদের জালে পাকড়াও হয়েছে একাধিক রাঘব বোয়াল ড্রাগ পেডলার।
তাদের মধ্যে অন্যতম জাইদ ভিলাত্রা এবং আবদুল বসিত পরিহার। এনসিবি সূত্রে খবর, স্যামুয়েল এবং শৌভিকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল জাইদের। আর এই যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আবদুল।