দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ‘আনলক থ্রি’ পর্ব। করোনাভাইরাস ঠেকাতে যে কড়া লকডাউন করা হয়েছিল তা ধীরে ধীরে শিথিল করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বেলা ১১ টা থেকে ১০ টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই রাজ্যগুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু ও কর্নাটক।
সোমবার ছ’টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই রাজ্যগুলি হল অসম, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং কেরল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা নিয়েই প্রধানমন্ত্রী এদিন ছয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
সারা দেশে কোভিড ১৯ রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মানুষ। দ্বিতীয় স্থানে আছে তামিলনাড়ু। তৃতীয় স্থানে আছে অন্ধ্রপ্রদেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পাঁচটি রাজ্যে। রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশ।
গত জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ম্যখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সোমবার ছ’টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মোদী জানতে চান, অতিমহামারীর মধ্যে দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ কীভাবে চলছে। তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত মানুষের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। তাঁদের যে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হবে, তার মধ্যে অবশ্যই থাকবে ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ৬০১। করোনায় মৃত্যুহার কমেছে দেশে। এদিনের হিসেবে কোভিড ডেথ রেট ১.৯৯%। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই মৃত্যুহার কমতে শুরু করেছিল। গত সপ্তাহে কোভিড ডেথ রেট ছিল ২.৩৩%। সেখান থেকে মৃত্যুহার এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ২.১৩ শতাংশে। মঙ্গলবারের বুলেটিনের ইতিবাচক দিকই হল মৃত্যুহার কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
আরও একটা ইতিবাচক দিক হল এফেক্টিভ রিপ্রোডাকশন নম্বর কমেছে দেশে। ১.১৭ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১.১৬ পয়েন্টে। একজন করোনা রোগীর থেকে কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে সেটা মাপা হয় আর নম্বর দিয়ে। এই হিসেবের মাপকাঠিতেই নির্ণয় করা হয় সংক্রমণ কতটা ছড়িয়ে পড়ল এবং কতজনের মধ্যে ছড়াল। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের হার বা কোভিড ট্রান্সমিশন রেটের সঙ্গে এই আর নম্বরের সম্পর্ক রয়েছে। দিল্লিতে গত সপ্তাহে আর নম্বর ছিল ০.৬৬ থেকে ০.৬৮ পয়েন্টের মধ্যে। এখন একের নিচে নেমে গেছে। মুম্বই ও চেন্নাইতেও আর নম্বর ছিল যথাক্রমে ০.৮১ ও ০.৮৬। এই দুই শহরেও আর নম্বর একের নিচে।