দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ:রাজ্য কংগ্রেসের ডাকে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে আইন অমান্য অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জ্যোতিবাবুর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত৷
সাংবাদিকরা তাঁকে বলেন, “গত কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এবারের ব্রিগেড অতীতের সব ব্রিগেডেকে ছাপিয়ে যাবে। এমনকি জ্যোতিবাবুর ব্রিগেডকেও ছাপিয়ে যাবে। এই বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি? উত্তরে সোমেন বাবু জানান, মমতা নিজে জ্যোতিবাবুর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রেরিত বলে এমন কথা বলেছেন।
তিনি মন্তব্য করেন, “এত নেতা ব্রিগেডে সভা করেছেন, কারও নাম না নিয়ে জ্যোতিবাবুর নাম নিলেন মমতা। তবে যারা সে দিন জ্যোতিবাবুর যে সভায় ছিলেন, সেখানে ইন্দিরা হত্যায় জড়িত লোকেরাও ছিল। আবার উনি ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর দিনে ঘটা করে চোখের জল ফেলেন!”
এ দিন সোমেন মিত্রর নেতৃত্বে ব্যারিকেড ভেঙে এসপি অফিস পার হয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সভা করেন বিক্ষোভকারীরা। এর পরে কংগ্রেস কর্মীরা দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙেন। শুরু হয় পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি। এর পরে ডিএসপি (ডিআইবি) রাজীব ভট্টাচার্য সবাইকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করেন।
এ দিনের আইন অমান্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন হাজার দুয়েক কংগ্রেস কর্মী। প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র ছাড়াও ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, রোহন মিত্র, দেবপ্রসাদ রায়, জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদার, জলপাইগুড়ি বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য অমিত ভট্টাচার্য প্রমুখ।