দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মিলে গেল মৌসম ভবনের পূর্বাভাস। সোমবার ভারতের মূল ভূখণ্ড, কেরলে ঢুকে গেল বর্ষা। তার ফলে আগামী চার তারিখ পর্যন্ত কেরল থেকে গুজরাট উপকূল জুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এদিন এমনটাই পূর্বাভাস দিলেন মৌসম ভবনের ডেপুটি ডিজি আনন্দ কুমার শর্মা।
তিনি জানান, ‘পূর্বাভাস মতো আজ থেকে কেরলে বর্ষা এলো। এটা বৃষ্টিপাতের জন্য খুব ভালো লক্ষণ।’ আনন্দ কুমার আরও বলেছেন, নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা ঘূর্ণিঝড় হয়ে যাবে।
উপকূলের উপর দিয়ে উত্তর দিকে যাওয়ার সময় আরও জলীয়বাষ্প টানবে এবং গুজরাট উপকূলের দক্ষিণে কোঙ্কন উপকূল, দমন, দিউ দাদরা–নগর হাভেলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী চার তারিখ পর্যন্ত। পশ্চিমঘাট অঞ্চলে ধসের আশঙ্কা আছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানোর পরামর্শ দিয়েছে মৌসম ভবন।
রাজ্যেও নির্দিষ্ট সময়ে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
নতুন করে কোনও বাধা তৈরি না হলে নির্দিষ্ট সময়েই বাংলায় বর্ষা ঢুকে যাবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে, কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুন। এ রাজ্যে সাধারণত উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকার স্বাভাবিক সময় ৫ জুন। ৮ জুন নাগাদ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা এসে যায়। সময় মতো কেরলে মৌসুমী বায়ু ঢোকার কারণে এ রাজ্যেও স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষা ঢোকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দিল্লির মৌসম ভবনের অধিকর্তা মৃতুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, “কেরলে নির্দিষ্ট সময়েই বর্ষা এসেছে। বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।” তবে এ রাজ্যে নির্দিষ্ট সময়ে বর্ষা আসবে হবে কি না, সে বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি মৃত্যুঞ্জয়বাবু। তবে এ ক’দিনের মধ্যে নতুন করে কোনও বাধা তৈরি না হলে নির্দিষ্ট সময়েই রাজ্যে বর্ষা ঢুকে যাবে বলে জানা গিয়েছে মৌসম ভবন সূত্রে। ইতিমধ্যে রাজ্যে প্রাক্বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে মৌসুমি বায়ুর দু’টি ভিন্ন শাখা বেয়ে। কেরলের শাখাটি উত্তর দিকে উঠতে উঠতে চলে আসে পূর্ব ভারতে। সেটাই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নিয়ে আসে। মৌসুমি বায়ুর অন্য শাখা আন্দামান থেকে মায়ানমার হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে ঢোকে উত্তরবঙ্গে। এখনও পর্যন্ত ছন্দে রয়েছে মৌসুমী বায়ুর সব শাখাই। ফলে এ বছর বর্ষার আগমনে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই খবর কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন সূত্রে।