আমডাঙায় জোড়া খুনে গ্রেফতার অভিযুক্ত কনস্টেবল,বিজেপি সাংসদকে নিহত কর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা পুলিশের

0
771

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার তেঁতুলিয়ার পঞ্চাননতলায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যেতে গিয়ে পুলিশের কাছে বাধা পেলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এলাকাটি তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হঠে পুলিশ। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ।

পঞ্চাননতলা গ্রামে শুক্রবার নিহত দুই ব্যক্তি বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত। তাই এদিন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও ব্যারাকপুর বিজেপি জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিং। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়ার পথে তাঁদের বাধা দেয় আমডাঙা থানার পুলিশ। শুরু হয়ে যায় তর্ক-বিতর্ক। এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে পুলিশ পিছু হটে।

সাংসদ অর্জুন সিং নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার কথা বলেন। তিনি নিহত ও আহতেদর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। অর্জুন সিং অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী হওয়ার ‘অপরাধে’ই ওই দু’জনকে খুন হতে হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূল কংগ্রেস রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

ভাটপাড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সোমনাথ শ্যাম বলেন, “এটা নিছক পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। অর্জুন সিং ওখানে গিয়ে গণ্ডগোল বাধাতে চাইছিলেন তাই পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।”

খুনের ঘটনায় শনিবার অভিযুক্ত সন্তোষ পাত্রকে শনিবার গ্রেফতার করেছে বারাসত জেলা পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছেন সার্ভিস রিভলভার দিয়ে তিনি এই খুন করেছেন। স্ত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিশোধ নিতেই এই খুন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত। এর সঙ্গে আর্থিক কোনও বিষয় জড়িত নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। সার্ভিস রিভলভারটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।

শুক্রবার রাতে বিধাননগরের অ্যাডিশনাল ডিসির দেহরক্ষী সন্তোষ পাত্রের গুলিতে খুন হন দুই ভাই সুমন্ত মণ্ডল ও অনন্ত মণ্ডল। এবিষয়ে বারাসতে সাংবাদিক বৈঠক করেন জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি থেকে পরিষ্কার যে দুই ভাই খুন এবং অপর একজন আহত হলেও খুনীর প্রধান রাগ ছিল সুমন্ত মণ্ডলের ওপরে। তাঁর স্ত্রীকে সুমন্ত শারীরিক নিগ্রহ করেছিলেন দাবি ধৃত অভিযুক্তের। তবে পুলিশ তাঁর দাবি খতিয়ে দেখছে।

শুক্রবার রাতে ওই তিন জন এক সঙ্গে গল্প করছিলেন। সেই সময় সার্ভিস রিভলভার থেকে কনস্টেবল সন্তোষ পাত্র গুলি চালান বলে অভিযোগ। গুলিতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। এক জন পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে।

Previous article‘আমফান’, ভয়ঙ্কর গতিতে এগোচ্ছে রাজ্যের দিকেই, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় মানা
Next articleসোমবার থেকে চলবে বাস, বেসরকারি বাসেও বাড়তি ভাড়া নয়, ঘোষণা পরিবহনমন্ত্রীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here