দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান এখনও অবধি নিজের স্বার্থে কাজ করে চলেছে। ক্রমাগত ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি পাঠাচ্ছে। ভারত সঠিক সময়ে সঠিক উত্তর দেবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসবাদে লাগাম দিচ্ছে, ততক্ষণ ভারত এর যথাযথ উত্তর দেবে।
উত্তর কাশ্মীরের হান্ডোয়ারার সংঘর্ষে রবিবার কর্নেল আশুতোষ শর্মাসহ পাঁচজন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। জঙ্গি দমনের যৌথ অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে জেনারেল এমএম নারাভানে বললেন, ‘পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করলে তাকে যোগ্য উত্তর দেওয়া হবে। ভারত তার পাঁচজন সেনাকে হারিয়েছে পাকিস্তানের জঙ্গি হামলায়। সেই শহিদদের জন্য গর্ববোধ করছি আমরা। তাঁদের জন্যই আজ আমরা সুরক্ষিত। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব এবার থেকে পাকিস্তানের। ভারতের সীমান্ত বরাবর পাকিস্তান বারবার আক্রমণ করে চলেছে। করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীকে আটকানোয় অগ্রসর না হয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। পাকিস্তান তার নাগরিকদের সুরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না বলেই সেদেশে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সরঞ্জামের সরবরাহে এত গাফিলতি। সার্কের বৈঠকেও একথার প্রমাণ মেলে। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল করোনা মোকাবিলা। কিন্তু পাকিস্তান দাবি তুলল কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা নিয়ে। নিয়ন্ত্রণ রেখার এপাশে সাধারণ মানুষকে যেভাবে ক্রমাগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তার থেকে প্রমাণ হয় পাকিস্তান এই মহামারীর সময়েও যুদ্ধেই উৎসাহী। এছাড়াও বোঝা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ ওদের রাষ্ট্রনীতির অংশ, কারণ একের পর এক দাগী আসামিকে তারা তালিকা থেকে বাদ দিয়ে চলেছে।’