এই সেই বিতর্কিত ছবি।—ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে
দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের দোল উৎসব ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই উৎসবে অশ্লীলতার অভিযোগে সরব হয়েছেন প্রাক্তনীদের একাংশ। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
এই সেই বিতর্কিত ছবি।—ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে৷
প্রতি বছর দোলের কয়েক দিন আগে দোল উৎসবে আয়োজন করা হয় রবীন্দ্রভারতীতে। এ বছরও এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। পড়ুয়ারা ছাড়াও তাতে যোগ দিয়েছিলেন বহিরাগতরাও।রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে বৃহস্পতিবার দোল উৎসবের কিছু ছবি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েেছ সেই ছবি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই। ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে, শাড়ি পরা কিছু মহিলার খোলা পিঠে আবির দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান বিকৃত করে অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে। অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে ছেলেদের বুকেও।
কিন্তু রাতের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। আর তা ঘিরেই হইহই পড়ে যায়। এমন কী আছে সেই ছবিতে?
সম্প্রতি রোদ্দুর রায় নামের একজন ইউটিউবার রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে‘ গানটি ‘বিকৃত’ করে গেয়ে তাঁর চ্যানেলে প্রকাশ করেন। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় তা। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিগুলিতে দেখা যায়, রোদ্দুর রায়ের গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকৃত কিছু লাইন মহিলাদের পিঠে আবির দিয়ে লেখা।
যা ঘিরে স্বাভাবিকভাবে অশ্লীলতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রাক্তনীরা। বিষয়টি যে তাদের চোখে পড়েছে তা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
এই প্রসঙ্গে পরে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছবিটি এই বছরের কি না বা ক্যাম্পাসের মধ্যেই তোলা হয়েছে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি ছবিটি সুপার ইমপোজ করে তৈরি কি না, কর্তৃপক্ষ তা-ও খতিয়ে দেখবে। দোল উৎসবে অনেক বহিরাগতও আসেন। ফলে ওই ছবিতে যাদের দেখা যাচ্ছে, তারা আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া কি না, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
গত বছর ডিসেম্বরে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কলাভবনে দু’দিনব্যাপী নন্দন মেলায় রোদ্দুর রায়ের বিকৃত ‘চাঁদ উঠেছিল গগনে’ গান গাওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর কয়েক মাসের মাথায় এ বার রবীন্দ্রনাথের নাম বিজড়িত রাজ্যের আরও একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির অভিযোগ উঠল।