দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পৌষমেলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এমন গুরুতর অভিযোগ এনেছেন সুতপা রায় নামের জনৈক মহিলা। শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগের তির খোদ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের দিকে। যদিও এ ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। পেলে তা প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
অভিযোগপত্রে সুতপাদেবী জানিয়েছেন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টে নাগাদ স্বামী মানস রায়ের সঙ্গে পৌষমেলায় গিয়েছিলেন তিনি। বীরভূম জেলার বোলপুর থানার অন্তর্গত সাকিম-মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা সুতপাদেবী এবং তাঁর স্বামী মানস রায়। রবিবার মেলায় একটি শীতবস্ত্রের দোকান থেকে বেশ কিছু গরম কাপড়-জামা কেনেন এই দম্পতি। এরপর মেলা থেকে বের হওয়ার সময় শুরু হয় সমস্যা।
সুতপাদেবীর অভিযোগ, জনা দশ-বারো লোক মেলা থেকে বেরনোর সময় তাঁর হাত ধরে টানাটানি করে। সুতপাদেবীর অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই ১০-১২ জন লোক সুতপাদেবীর সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে। শাড়ি এবং ব্লাউজ ছিঁড়ে দেওয়া হয় এবং শরীরের গোপন জায়গায় হাত দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সুতপাদেবী। তাঁর কথায়, “মেলা থেকে বেরনোর সময় হঠাৎই ১০-১২ জন লোক আমায় ঘিরে ধরে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাত থেকে জিনিসিপত্র ট্রেনে নিয়ে দূরে ছুড়ে ফেলে দেয়।”
সুতপাদেবী জানিয়েছেন, স্থানীয় লোকেদের থেকে তিনি জানতে পারেন যে ওই একদল লোকের মধ্যে ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এছাড়াও সঞ্জয় ঘোষ, অনির্বাণ সরকার, গৌতম সাহা, সুব্রত মণ্ডল ও আরও অনেকে ছিলেন বলে দাবি করেছেন অভিযোগকারিণী। তবে মহিলার দাবি এঁদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে যাথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সুতপাদেবী। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে যে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।