দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: মধ্যমগ্রামের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যদিও মুল অভিযুক্ত রাখাল নন্দী এখনও অধরা। মঙ্গলবারও এলাকা থমথমে। চলছে পুলিশের টহল। ধৃতদের আজ বারাসাত আদালতে তোলা হচ্ছে।
সোমবার সন্ধেবেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মধ্যমগ্রাম পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কদমতলা বাজার এলাকা। তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। বোমাবাজিও করে তিন দুষ্কৃতী। তারপরেই বাইকে করে পালিয়ে যায় তারা। সে সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং (রিঙ্কু)। বোমার স্প্লিন্টারে গুরুতর জখম হন তিনি। আহত হয়েছেন দীপক বসু নামের আর এক তৃণমূল নেতা।
সঙ্গে সঙ্গেই আহত দু’জনকে যশোর রোড সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার খবর ছড়াতেই তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। এসে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রাখাল নন্দী নামের এক দুষ্কৃতীর নেতৃত্বেই এই হামলা। কয়েকদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুকুমার মণ্ডল জানান, “সন্ধেবেলা মধ্যমগ্রাম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ সিং কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে এলোপাথাড়ি বোমা মারে। বিনোদকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। গুলি না লাগলেও বোমার স্প্লিন্টারে আহত হন তিনি। আহত হন দীপক বসু নামে আরও এক নেতা।”
মূল অভিযুক্ত রাখাল আগে তৃণমূল করলেও এখন বিজেপির ছত্রছায়ায় আছে বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি নেতৃত্ব পাল্টা দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের দলের কোন্দলেই হামলা হয়েছে।