দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশের সমাবেশ ঘিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কলকাতার রাস্তায় অন্যদিনের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি ভিড় । করোনার কারণে গত দু’বছর ধর্মতলায় ‘শহিদ দিবস’-এর সমাবেশ হয়নি, দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বছর ২১ জুলাই ফের ধর্মতলায় সমাবেশ হবে। সকাল থেকেই ধর্মতলার দিকে যাচ্ছে একাধিক মিছিল।
এদিন সকাল থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে উপচে পড়া ভিড়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। ট্রেন থেকে নেমে রওনা দিচ্ছেন ধর্মতলায় সভাস্থলের দিকে ৷ বৃহস্পতিবারের সভার আঁচ মঙ্গলবার থেকেই টের পাওয়া যাচ্ছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে বেসরকারি বাসে চড়ে কলকাতায় এসেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। অনেক বাসের ছাদেও মানুষের ভিড়। কলকাতা মেট্রোতেও ভিড় ছিল দেখার মতো।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন রেকর্ড ভিড় হতে পারে ধর্মতলার সভায় ৷ দুপুর ১২টা থেকে সভা বলে জানিয়েছে তৃণমূল। তবে সকাল থেকেই কর্মী, সমর্থকেরা মিছিল করে আসতে শুরু করেছেন। ভোর ৪টে থেকে কলকাতার বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে কলকাতা পুলিশ। শ্যামবাজার, হাজরা মোড়-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসছে ধর্মতলায়। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, মিছিলের জন্য ৮টি রুট নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ভিড় দেখা গেছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন চত্বরেও। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত টানা ১৭ ঘণ্টা যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে ধর্মতলা চত্বর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের কড়া নজরদারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বম্ব স্কোয়াডকেও। একই সঙ্গে পুলিশ কুকুর এবং ড্রোন দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে সমাবেশ চত্বরে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ২১ জুলাই-এর সমাবেশের দিকে উপচে পড়া ভিড়। কবি সুভাষগামী এবং দমদমগামী মেট্রোতে দিনের প্রথম মেট্রোতেই চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গেল। ভিড় দেখা গিয়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন চত্বরেও। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল করে ইতিমধ্যেই লোক আসতে শুরু করেছে সমাবেশস্থলের দিকে।
এ বছরের দৃশ্য আলাদা। অতিমারির চরিত্রগত কারণেই হোক বা টিকাকরণের সুবাদে, করোনা নিয়ে চিন্তা খানিকটা হলেও কমেছে। তাই চেনা ছকেই মঞ্চ তৈরি হয়েছে ধর্মতলা চত্বরে। বিভিন্ন জেলার নেতা-কর্মীরা এক বা দু’দিন আগে থেকেই কলকাতায় এসে ভিড় করেছেন। বছরের এই নির্দিষ্ট দিনটিতে দলনেত্রীকে একদম সামনে থেকে দেখতে পারেন বিভিন্ন জেলার সেই সমস্ত কর্মীরা, যাঁরা মঞ্চের কাছাকাছি থাকতে পারেন।