দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। শুক্রবার পুরীর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য। তবে রবিবার বন্ধ থাকবে মন্দির। এদিন সম্পূর্ণ মন্দির চত্বর স্যানিটাইজ করার কাজ চলবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে গত ১০ জানুয়ারি ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করা হয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার।
পুরীর জেলা শাসক সমার্থ বর্মা বলেন, “আমরা ছাতিসা নিজোগা (মন্দিরের সেবকদের কমিটি) ও শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (SJTA)-র সঙ্গে বৈঠক করি। সম্মিলিতভাবে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জীবন এবং জীবনযাত্রার ভারসাম্যের বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। পাশাপাশি পুরীর অর্থনীতি, যা অনেকাংশে জগন্নাথ মন্দিরের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল, সেই দিক বিবেচনা করে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
পুরী শহরের বাসিন্দাদের পশ্চিম দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে এবং বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার মিলবে পূর্বদিকের দরজা দিয়ে। মন্দিরে ভক্তদের জন্য সারাদিনের কতখানি সময় খোলা রইবে তা জানানো হবে এবং শহরের রাতের কারফিউ নিয়ম অনুসারেই তা বন্ধও করা হবে। স্থানীয় করোনা পরিস্থিতি বিচার করে কোনও উৎসবে মন্দির বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। “স্থানীয় অর্থনীতি বেশিরভাগই মন্দিরের উপর নির্ভরশীল। সেই বিষয়টিও মাথায় রেখে, ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে মন্দিরের পূর্ব দরজা (সিংহের দরজা) দিয়ে। পুরীর স্থানীয় মানুষ পশ্চিমের দরজা দিয়ে মন্দিরের ভিতরে যাবেন,” জানান সমর্থ।
সূত্রের খবর, ভক্ত এবং দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই সময় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বেঁধে দিতে পারে মন্দির কর্তৃপক্ষ, জানা যাচ্ছে এমনটাই। তবে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।
শুক্রবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ছাত্তিসা নিজোগার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকে SJTA প্রধান প্রশাসক, পুরীর কালেক্টর এবং পুরীর এসপি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভক্তদের জন্য মন্দির দর্শন ও মন্দিরে পুজো দেওয়ার বিষয়েই বিশদে আলোচনা করা হয়। বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই জানানো হয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভক্তদের জন্য মন্দিরটি আবার খুলে দেওয়া হবে।
দ্বাদশ শতাব্দীর এই প্রাচীন মন্দিরটি করোনাভাইরাসের কারণে ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল ঠিকই, তবে কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আচার অনুষ্ঠান অব্যাহত ছিল।SJTA এর বেশ কিছু কর্মচারী এবং সেবাইতদের COVID-19 সংক্রমণও ধরা পড়েছে এর আগে।