দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জল্পনার অবসান। আইএসএল খেলার পথে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার বিকাল চারটায় নবান্ন-তে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল এবার আইএসএল খেলবে। ডার্বি নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে গিয়েছে।’’ ইস্টবেঙ্গল ইতিমধ্যেই ইনভেস্টর হিসেবে পেয়ে গিয়েছে একটি নামী সিমেন্ট কোম্পানিকে। যাদের হাতে থাকবে ক্লাবের ৮৫ শতাংশ শেয়ার, বাকি ১৫ শতাংশ থাকবে ইস্টবেঙ্গলের।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ‘‘বাংলা ছাড়া ফুটবল সম্পূর্ণ হবে না। শ্রী সিমেন্ট, আশা করবো করবো তারা বাংলায় অনেক শিল্প করবে। করোনা আবহের মধ্যে তারা যেভাবে এগিয়ে এসে ইস্ট বেঙ্গলের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেটা অনেক বড় কথা। আমরা সব ক্লাবকে ভালোবাসি। সেই কারণে আমরা এখানে আছি। আমরা চাই বাংলার সভ্যতা সংস্কৃতি সব কিছু ভালো হোক। বাংলা সব কিছুতে ভারতবর্ষকে পথ দেখায়।’’ লাল হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকেও সচিব কল্যাণ মজুমদার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই আমরা আইএসএলে খেলতে পারছি।
তিনি আমাদের পাশে ছিলেন এই কঠিন সময়ে। উনি সর্বদা কলকাতা মাঠের তিন প্রধান ক্লাবের ভালমন্দের সঙ্গে জড়িয়ে রাখেন।’’
মোহনবাগান-এটিকে সংযুক্তিকরণের পরে যেমন ক্লাবের লোগো, জার্সি বদল হয়নি। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও সেটি না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ তার সঙ্গে সমর্থকদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। যদিও ইনভেস্টরদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কার্যকরি কমিটিতে তাদের ছয়জন প্রতিনিধি ও বাকি দুই প্রতিনিধি থাকবে ক্লাবের। এই নিয়ে ক্লাবের নামী কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, ‘‘এগুলি নিয়ে পরে কথা বলব আমরা। ওদের সঙ্গে চুক্তি হয়ে যাওয়ার পরে সবটা জানাব।’’ কিন্তু আইএসএল খেলতে হলে যে কোনও ক্লাবকেই দিতে হবে ১৫ কোটি টাকা।
সেটি নেবে এফএসডিএল সংস্থা। তারা অর্থের অঙ্কে কঠোর মনোভাব দেখিয়ে এসেছে। ইনভেস্টর এসে যাওয়ায় অবশ্য ইস্টবেঙ্গলের ওই অর্থ দেওয়া নিয়ে সমস্যা থাকল না।
আবার এও ঠিক, কোয়েসের সঙ্গে সংঘাত বাধে ক্লাবের দায়িত্ব বন্টন নিয়েই। তাই নয়া ইনভেস্টরের সঙ্গে যাতে এমন কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য সবটাই লিখিত চুক্তি আকারে করে নিতে চাইছেন লাল হলুদ কর্তারা।