দেশের সময়, হাবরা: বড় নেতা বা তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে বড় নেতা বা তারকা মুখ—এটাই যেন বিজেপির প্রার্থী তালিকার বর্শাফলক।
এদিন যে শতাধিক কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে গেরুয়া শিবির তাতে অনেক কেন্দ্র চমকপ্রদ হয়ে উঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া।
হাবড়া বিধানসভার বিদায়ী বিধায়ক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার সেই বালুর বিরুদ্ধেই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাকে প্রার্থী করল বিজেপি। অনেকে বলছিলেন বটে, তবে রাহুল সিনহা যে কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন না তা দেশের সময়-এ আগেই লেখা হয়েছিল। এদিন দেখা গেল খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
হাবড়া বিধানসভা পড়ে বারাসত লোকসভার মধ্যে। উনিশের ভোটে বারাসত কেন্দ্রে তৃণমূলের কাকলি ঘোষ দস্তিদার হ্যাটট্রিক করলেও হাবড়া বিধানসভায় প্রায় বিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তাই একুশের ভোটে এই কেন্দ্রকে উর্বর মনে করছে গেরুয়া শিবির। ওজনদার নেতা দাঁড়ালে বালুর বিরুদ্ধে জয় সম্ভব বলেই মত বিজেপির অনেক নেতার। তাই রাহুলকে লড়তে পাঠাল দল।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, বারাসত কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে আরএক মন্ত্রীর কেন্দ্র। সেই সুজিত বসুর বিধাননগরেও উনিশের ভোটে লিড ছিল গেরুয়া শিবিরের। এবার বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থী করেছে সব্যসাচী দত্তকে। সব্যসাচী গত মেয়াদে রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক ছিলেন। ফলে সল্টলেকের লড়াইও টানটান।
অনেকে বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নাকি এবার নিজেরব আসন বদলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে পুরনো কেন্দ্রেই প্রার্থী করেছেন। যদিও বালু ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, লোকসভা ভোট আর বিধানসভা এক নয়। ফলে, বাইরে থেকে বিজেপি যাঁকেই প্রার্থী করে আনুক, হাবরায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জয় নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, রাহুল সিনহা অতীতে বহুবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু জয় পাননি। উনিশের লোকসভাতেও উত্তর কলকাতায় দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এখন দেখার, এগিয়ে থাকা হাবড়ায় রাহুলবাবুর হারের রেকর্ড ভাঙে কি না।