শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে হাড়হিম কাণ্ড। স্থানীয় ভরতগড় ৬ নম্বর এলাকায় এক যুবককে কাটা মুণ্ড হাতে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। তা দেখে তীব্র আতঙ্ক ছুটোছুটি শুরু করে দেন এলাকার লোকজন। অনেকে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছয় ও যুবককে আটকে রেখে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চায়।
পুলিশের দাবি, বিমল মণ্ডল নামে ওই যুবক তাদের জানায়, সে তার বৌদি সতী মণ্ডলকে খুন করেছে। ওই কথা জেনে সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর নৃশংস ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে এক যুবককে একটি কাটা মুন্ডু হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাঁর আর এক হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র আর পরনে ছিল রক্তমাখা পোশাক। এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখেই আতঙ্কে বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ করে দেন অনেকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বাসন্তী থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পরে ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে, বিমলের বাড়ি ভরতগড়েই। পারিবারিক বিবাদের জেরেই সে তার বৌদিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত জানাতে পারেনি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বিমলকে আরও জেরা করা দরকার। নিহত মহিলার স্বামীর সঙ্গেও কথা বলতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সতী মণ্ডলের কাটা মুণ্ড ও দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে হঠাৎই বিমলকে রক্তমাখা জামা পরে, হাতে বৌদির কাটা মাথা নিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। শিউরে ওঠা ওই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান এলাকার লোকজন। কী ভাবে কী হলো তা বুঝতেই ঢের দেরি হয়ে যায়। পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই নৃশংস খুন। যদিও এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত বিমলের মানসিক অবস্থা নিয়েও ধন্দে পুলিশ।
এই ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। গোটা এলাকা পুলিশের ঘেরাটোপে। এই ঘটনায় পরিবারে নারীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ। ইতমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিস্তারিত জানতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কী ভাবে দিনের আলোয় এমন ঘটল ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।