দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার সন্ধে ৮টা ১৪ মিনিট। স্টেশন চত্বরে বহু মানুষের ব্যস্ততা। আচমকাই বিকট আওয়াজ। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বর্ধমান স্টেশনের বহু পুরনো বিল্ডিংয়ের একাংশ। চিৎকার আর আর্তনাদে মুহূর্তে স্টেশন চত্বরের ছবিটাই বদলে যায়। ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
সন্ধের ব্যস্ত সময় বাড়ি ধসে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রেলপুলিশ, বর্ধমান জেলা পুলিশ ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বহু মানুষ ভিড় করে রয়েছেন স্টেশন চত্বরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সন্ধেয় আচমকাই বর্ধমান স্টেশনের মূল প্রবেশপথের একেবারের সামনের অংশটি ভেঙে পড়ে। মেন গেটের সেখানে গাড়ি বারান্দা সেই অংশ এবং অনুসন্ধান অফিসের একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে থাকে। দু’জন যাত্রী সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁদের মাথার উপরেই ভেঙে পড়ে চাঙড়। আরও কয়েকজনের ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় স্টেশনে ঢুকছিল আপ বর্ধমান লোকাল। ট্রেন থেকে নামছিলেন যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মেও ছিল বহু মানুষের ভিড়। এমন সময় এই ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে যাত্রীদের কেউ কেউ রেললাইনে নেমে পড়েন, কেউ আবার ট্রেনে উঠে পড়েন। ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় গোটা প্ল্যাটফর্মে। ঘটনায় রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির দিকেই আঙুল তুলেছেন অনেকে।
কার্জন গেটের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী কমল দত্তের কথায়, “দীর্ঘদিন ধরেই ভগ্নদশায় রয়েছে এই বাড়িটি। বহু প্রাচীন এই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আগেও বহুবার রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। বাড়িটিকে দেখলেই মনে হত যে কোনও দিন এর চাঙড় খসে পড়বে। সেটাই হল। ”
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ইঞ্জিন। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকজন আহত যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে স্টেশন চত্বর। জানা গেছে, হাওড়া-বর্ধমান মেন এবং কর্ড কোনও শাখারই ট্রেন বর্ধমান পর্যন্ত যাচ্ছে না। মেন লাইনের ট্রেন গাঙপুর পর্যন্ত যাচ্ছে।