হঠাৎই অভিষেক-পিকের সঙ্গে শুভেন্দু বৈঠকে, হাজির সৌগত-সুদীপ! তৃণমূলেই থাকছেন শুভেন্দু!

0
1084

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন গত শুক্রবার। কিন্তু কখনও দল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো বিরোধী একটিও কথা বলেননি। তবে কি এই দিনটারই অপক্ষায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? হ্যাঁ, আজ, মঙ্গলবার সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক সেই বার্তাই দিচ্ছে। তৃণমূল বলছে  মধুরেণ সমাপয়েৎ, শুভেন্দু দলেই থাকছেন।

সূত্রের খবর, আজ সন্ধেয় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৈঠতকে হাজির ছিলেন সৌগত রায়, ভোটকুশলী প্রশান্তকিশোরও। তৃণণমূল সূত্রে খবর এই বৈঠক হয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। শুভেন্দু নিজের সব সুবিধে অসুবিধের কথা বলেছেন। তৃণমূল সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক। সব পক্ষ একটা সাধারণ জায়গায় এসেছে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

বর্ষীয়াণ সাংসদ সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী দলেই থাকছেন, ভবিষ্যতে দল আরও শক্তিশালী হবে।  সব সমস্যা মিটে গিয়েছে। সবাই মিলে একসঙ্গে লড়ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।

দু’দিন আগেই তাঁর উদ্দেশে দলের এক সর্বোচ্চ নেতা বলেছিলেন, বিশ্বাসঘাতকদের কড়ায়-গণ্ডায় জবাব দেবে। তার পরে যে কোনও সমঝোতা বৈঠক হতে পারে কেউ ধারণাই করতে পারেননি। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় অবশ্য দাবি করছিলেন, আলোচনার দরজা বন্ধ হয়নি। এখনও খোলা রয়েছে।


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেখা গেল, সৌগতবাবু ভুল কিছু বলেননি। উত্তর কলকাতার একটি জায়গায় এদিন সন্ধ্যা থেকে সৌগতবাবুদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। সেই বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ভাবে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পেশাদার ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।

বৈঠকের পর সৌগতবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে। আমি বলেছিলাম, শুভেন্দু দলে রয়েছে। ও কথা দিয়েছে দল ছেড়ে যাবে না। বাকিটা শুভেন্দু বলবে। আমি আর কিছু বলতে পারব না।”

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই খবর জানাজানি হতেই সোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, শুভেন্দু মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পর রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা তো বটেই তৃণমূলের অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন যে তাঁর তৃণমূল ত্যাগ সময়ের অপেক্ষা। তা ছাড়া তার পর একাংশ নেতা যে ভাবে ঠারেঠোরে তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন, তাতে সেই সন্দেহ আরও জোরদার হয়।


তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার পরেও শুভেন্দু দল বা সরকার সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলেননি। শুধু দুটি ‘অরাজনৈতিক’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তার মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে কেবল বলেছিলেন, চরৈবেতি চরৈবেতি।

শুভেন্দু নিজে রাজনীতি এড়ালেও, তাঁকে ঘিরে আলোচনা থামছিল না। সোমবারই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় আবার বলেছিলেন, ‘আরও আলোচনা হতেই পারে।’ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও বলেছিলেন, ‘শুভেন্দুকে নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই। শুভেন্দু দলেই আছেন। দল ছাড়েননি। শুভেন্দু কি বলেছেন যে, আমি দলে নেই? একবারও তো সে কথা বলেননি!’ তবে গত রবিবারই নাম না-করে শুভেন্দুকে ইঙ্গিতে কড়া আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অবশ্য সেই আক্রমণ-পালটা আক্রমণে খানিক বিরতি পড়ল। তৃণমূলেই থাকছেন শুভেন্দু, এই বার্তা দিলেন সৌগত রায়। যদিও শুভেন্দু নিজে কিছু না বলা পর্যন্ত জল্পনা অব্যাহত। 

Previous articleভোটের আগে কর্মসংস্থান নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleগোটা একটা পার্টি শুভেন্দুর পায়ে পড়ে গেছে, দেখে মজা লাগছে : অধীর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here