দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ কোভিড টেস্ট, কনট্যাক্ট ট্রেসিং ও ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ চিকিৎসাতেই ঠেকানো যাবে করোনা অতিমহামারী। সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশে কোভিড সংক্রমণ ৫৬ লাখের গণ্ডি পার করেছে। সাত রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। এদিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে আনলক ৪। তার আগে ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী।
সংক্রমণ রুখতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনে আরও বেশি পরীক্ষা ও কনট্যাক্ট ট্রেসিং করার উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ছোট ছোট এলাকাগুলি থেকে যাতে সংক্রমণ বেশিমাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মোদীর কথায়, “বেশিরভাগ কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রেই রোগীর উপসর্গ নেই।
তাই সেক্ষেত্রে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে করো পরীক্ষা নিয়ে নানারকম গুজব ছড়াচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, কোভিড টেস্টে ঝুঁকি আছে। কিছু মানুষ আবার ভাইরাস সংক্রমণের গুরুত্বই বুঝতে পারছেন না। তাই সঠিক বার্তা সকলের কাছে পৌঁছনো উচিত।”
গত ২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে সারা দেশে লকডাউন চালু হয়েছিল। আজ ছ’মাসের মাথায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথম লকডাউনে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। মোদী জানান, কিছু রাজ্যে সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন করে লকডাউন শুরু করেছে, সেটা কতটা কার্যকরী এবং তাতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কোনও ক্ষতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেন তিনি।
গত ছ’মাসেও করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি দেশের সাত রাজ্যে। মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও পাঞ্জাবে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এই সাত রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ কেস প্রায় ৬৩ শতাংশ। দেশের মোট কোভিড পজিটিভ রোগীর ৬৫.৫ শতাংশই এই সাত রাজ্যে, মোট মৃত্যুর ৭৭ শতাংশও এই রাজ্যগুলি থেকেই। গত মাসে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার কমলেও বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পাঞ্জাবে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। মৃত্যুহারও জাতীয় গড়ের থেকে বেশি প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে। তবে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে আনলক-৪। স্কুল-কলেজ খোলার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। নবম ও দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নভেম্বর থেকে কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর আগে গত মাসেই বেশ কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যগুলিকে।