দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রতি বছরের মত এবছরও শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজো উপলক্ষে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বনগাঁ হাইস্কুল মোড় যুবগোষ্ঠীর উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হয়ে গেল মহা সমারোহে। সরস্বতী পুজো মানে বাঙালির ভ্যালেন্টাইসডে,এই পুজোকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল সব মহলে৷ বনগাঁয় সরস্বতী পুজোর দিন
নিরক্ষরদের সাক্ষর করার অঙ্গিকার করে, সরস্বতী পুজোর দিন নিরক্ষর কিছু মানুষকে স্বাক্ষর করার শপথ নিয়ে সরস্বতী পুজো করেন একদল যুবক। বনগাঁর হাইস্কুল মোড় বটতলা যুবগোষ্ঠীর এই উদ্যোগ এ এবারে তাঁদের তৃতীয় বর্ষ।যুবগোষ্ঠীর সম্পাদক দেবাঞ্জন সাঁধু,সহস্পাদক উশীনার চন্দ্র,সভাপতি শুভদীপ মুখার্জীরা জানান
তিন বছর আগে তারা কয়েকজন বিভিন্ন পেশার যুবক একত্রিত হয়ে সরস্বতী পুজো শুরু করে।এবছর তাঁরা এলাকার সকলকে নিয়ে মিলিতভাবে পুজোর আয়োজন করেছিলেন। পুজোর পাশাপাশি পথচলতি ৩০ জন শিশুর হাতে বর্ণ পরিচয় তুলে দেন পুজো উদ্যোক্তারা। এ বছর তাঁরা হস্তশিল্পকে প্রাধান্য দিয়েপুজোমন্ডপ এবং প্রতিমা তৈরি করছেন। বেত, বাঁশের তৈরি ঝুঁড়ি, কুলো ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে পুজো মন্ডপ তৈরি করা হয়। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমা তৈরি করা হয়। পুজোর দিন বাংলার ছৌঁ নাচ, খোল, মহিলা ঢাকিদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা বের করা হয়। পুজো কমিটিক সম্পাদক দেবাঞ্জন সাঁধু জানান, 'যে দেবীর পুজোয় আমরা জীবনে প্রথম হাতেখড়ি দিই, অঞ্জলী দিই, পড়াশোনার পর্ব শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে অনেকক্ষেত্রেই সেই দেবীকে কিছুটা ভুলে গিয়ে বেশিরভাগ জায়গায় দূর্গাপুজো, কালীপুজো, গনেশ পুজোকে গুরুত্ব দিয়ে বড় বাজেটেরপুজোর আয়োজন করা হয়। তাই আমরা সরস্বতী পুজোকে গুরুত্ব দিয়ে তার আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিই প্রতিবার।' পুজোর পাশাপাশি এবছর আর একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজোর দিন পথ চলতি মানুষদের মধ্যে যারা নিজেদের নামটুকু পর্যন্ত লিখতে পারেন না, তাঁদেরকে দাঁড় করিয়ে বড় বোর্ডে নিজেদের নাম লেখানো শেখানো হয়েছে৷ যাতে তাঁরা নিজেদের সাক্ষরটুকু করতে পারেন। বিসর্জনের দিন ছিল কার্নিভাল,বনগাঁ শহর পরিক্রমা করে ইছামতী নদীতে এতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় এবছর৷কার্নিভাল দেখতে ছুটে এসেছিলেন অসংখ্য মানুষ৷উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা৷ ছবি তুলেছেন - রোহীত নাগ/