দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃদীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-২। পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পিছিয়ে দিয়ে হয়েছিল চন্দ্রযান-২-এর উত্ক্ষেপণ।
Efforts such as #Chandrayaan2 will further encourage our bright youngsters towards science, top quality research and innovation.
Thanks to Chandrayaan, India’s Lunar Programme will get a substantial boost. Our existing knowledge of the Moon will be significantly enhanced.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 22, 2019
এরপর সবদিক দেখেশুনে সোমবার বিকেল ২.৪৩ সময়টি উত্ক্ষেপণের জন্য বেছে নেয় ইসরো। সেইমতোই রবিবার রাতে শুরু হয় কাউন্টডাউন। অপেক্ষা শুরু হয় দেশবাসীর। সোমবার ঠিক বিকেল ২.৪৩-এ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান-২।
এক নজরে:
- দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-২।
- পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
- এই অভিযানে যুক্তদের কুর্নিশ জানিয়েছেন ইসরো প্রধান।
উত্ক্ষেপণের ঠিক ১৬ মিনিটের মাথায় চন্দ্রযান-২-কে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিয়ে তার থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে ‘বাহুবলী’ রকেট-জিএসএলভি এমকে থ্রি। ভারতের ৯৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প চন্দ্রযান-২-এর সব মাপকাঠি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরো। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর ‘চাঁদের পাহাড়ে’ অবতরণের কৃতিত্ব অর্জনে ভারতের আশা চন্দ্রযান-২।
ইসরোর প্রধান কে সিভান চন্দ্রযান-২-এর উত্ক্ষেপণের পর জানিয়েছেন, ‘আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে GSLV-MkIII সফলভাবে চন্দ্রযান-২-কে পৃথিবীর কক্ষপথে ছাড়তে (ইনজেক্ট করতে) সক্ষম হয়েছে। চাঁদের পথে ভারতের ঐতিহাসিক সফর ও সাউথ পোলের কাছে অবতরণের পর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রক্রিয়ার এটা সূচনা। এই অভিযানে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সবাইকে কুর্নিশ জানাচ্ছি।’ সিভানের এই ঘোষণার পরই আনন্দে ফেটে পড়েন ইসরোর অন্যান্য বৈজ্ঞানিকরা।
এ বার অপেক্ষা শুরু ৪৮ দিনের। ততদিন সফর করে ৬ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞানকে নিয়ে চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পরেই বেরিয়ে আসবে ছয় চাকার যান প্রজ্ঞান।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিভন জানিয়েছেন, “আজকের উৎক্ষেপ সফল। এখন শুধু চাঁদে পৌঁছনোর অপেক্ষা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে নতুন দিগন্ত খুলে গেল।” মনিটরে চোখ রেখে এখন চন্দ্রযানের গতিপথের প্রতি মুহূর্তের আপডেট দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ইসরোর পাশাপাশি অন্তরীক্ষে চোখ রেখে অধীর অপেক্ষায় নাসা, ইসা (ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি বা ইএসএ), জাক্সা (জাপান স্পেস এজেন্সি)-র মতো বিশ্বের তাবড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি।