দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রায় গোটা শিক্ষাবর্ষ জুড়েই দোলাচল চলছে করোনার জেরে। মার্চ মাসের পর থেকে স্কুল খোলেনি প্রায় গোটা দেশে। কোনও কোনও রাজ্য খোলার চেষ্টা করলেও সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়েছে সংক্রমণের ফেরে। একই ছবি বাংলাতেও। এই অবস্থায় আজ, সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করে ঘোষণা করল, রাজ্যের স্কুলগুলিতে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত কোনও বার্ষিক পরীক্ষাই হবে না। পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে পড়ুয়াদের। করোনা আবহে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর।
মূলত আর কয়েক দিন পরে, জানুয়ারি মাস থেকেই পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত পরীক্ষা দূর অস্ত, স্কুল খোলাই সম্ভব হয়নি। অনলাইনে পঠনপাঠন হলেও তা রাজ্যের সমস্ত প্রান্তে যে সম্ভব হচ্ছে না, তা অনস্বীকার্য।
এই অবস্থায় সারা রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মধ্যে একটা উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছিল পঠনপাঠন নিয়ে৷ আজ শিক্ষা দফতর অবস্থান স্পষ্ট করায় অনেকেই নিশ্চিন্ত হলেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য রাজ্যবাসীর একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, বিনা মূল্যায়ণে এভাবে নতুন ক্লাসে পৌঁছে যাওয়া কি পড়ুয়াদের পক্ষে সমস্যার হবে না! এ কথা মাতায় রেখেই সম্ভবত, আজকের নির্দেশিকায় পর্ষদ বলেছে, স্কুল যখন খুলবে তখন পূর্ববর্তী ক্লাসের পাঠ্যক্রম আগে পড়াতে হবে শিক্ষকদের। তবে শুরু করা যাবে নতুন ক্লাসের পড়া।
সরকার আগেই জানিয়েছিল, ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনও টেস্ট পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। আজকের নির্দেশিকায় তা আরও একবার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে, তারা যেন পরীক্ষার্থীদের জন্য মক টেস্টের ব্যবস্থা করে। সেটাই হবে তাদের মাধ্যমিকের প্রস্তুতি।
এমনিতেই সর্বশিক্ষা অভিযানের নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাধারণত ফেল করানো যায় না। সেই মোতাবেক, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জটিলতাও ছিল না। কিন্তু নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কী করণীয়, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল।
এখন সামনে একটাই বড় প্রশ্ন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে হবে। সূত্রের খবর, আগামী বছর জুন মাসে এই দুই বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে সূচি কবে ঘোষণা করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।