দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীর থেকে শীতের জিনিস পত্র নিয়ে হাজির ফেরিওয়ালারা ৷ কিন্তু শীতের দেখা মিলছে না৷ ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে চললো ,তাও শহরে নামেনি পারদ। এমনকী অন্যান্য বছর এই সময় জেলা এবং শহরতলিতে তাপমাত্রা কমে গেলেও, এ বছর চিত্রটা একটু অন্যরকম,সারাদিন মেঘলা আকাশ,যেন মুখ গুমরে বসে আছে প্রকৃতি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত রবিবার শহরে তাপমাত্রা ছিল, ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। আগামী দু’তিন দিনেও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দাপট নেই উত্তুরে হাওয়াতেও। তাই শীত আসতে দেরি আছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁদের মতে, শীত পড়ার জন্য দিনের বেলায় আকাশ পরিষ্কার থাকা খুব জরুরি। সঙ্গে দরকার চড়া রোদ। সাধারণত নভেম্বরের প্রথম থেকেই উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসতে শুরু করে। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে শহরে। কিন্তু হালফিলে বঙ্গোপসাগরে তৈরি একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের কারণেই এই উত্তুরে হাওয়া বঙ্গে প্রবেশ করতে পারছে না বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে নামতে পারে পারদ। শহর এবং শহরতলির পাশাপাশি জেলাতেও ওই সময়েই জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সময় দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে তাপমাত্রা। চলতি সপ্তাহেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ১৫ ডিগ্রিতে।