দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত ২,২৭৮ জন। মৃত্যু ৩৬ জনের। এই পরিস্থিতিতে আরও কঠোর হতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন। কোনও শহরে বা এলাকায় যদি করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণার দরকার হয় তবে সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন জেলাশাসকরা। এদিন এমনই নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। সব জেলাশাসককে অ্যাডভাইসারি পাঠিয়ে স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষে বলা হয়েছে, জেলাশাসকরা দরকার মতো ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য স্থানীয় পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন ঘোষণা করতে পারেন। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে গোটা রাজ্যে কনটেনমেন্ট জোনে এখন যে লকডাউন চলছে তা ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
রাজ্যে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সব জেলার কনটেনমেন্ট জোনে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই সাত দিনের জন্য কড়া লকডাউন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। ৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া সেই লকডাউনের মেয়াদ পরে পাঁচ দিন বাড়িয়ে ১৯ জুলাই পর্যন্ত করে রাজ্য। এবার তা আরও বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হল।
এছাড়াও কলকাতা সহ রাজ্যের ছয় শহরে ১৫ জুলাই থেকে শুরু হয় শহর ভিত্তিক কড়া লকডাউন। সেই শহরগুলি হল কলকাতা, জলপাইগুড়ি, মালদহ, কোচবিহার, রায়গঞ্জ এবং শিলিগুড়ি। ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নবান্ন জানাল, কোন জেলার কোথায় কেমন পরিস্থিতি তা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনই ঠিক করতে পারবে লকডাউনের স্থান ও মেয়াদ। জেলাশাসকদের উপরেই সেই ক্ষমতা দেওয়া হল। কোনও শহরে যেমন আলাদা করে লকডাউন ঘোষণা করা যেতে পারে তেমনই কোনও নির্দিষ্ট এলাকার জন্যও লকডাউন ঘোষণা করতে পারবেন জেলাশাসকরা।
রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ছিল স্বাস্থ্য দফতরের শনিবারের বুলেটিনে। ২,১৯৮ জন আক্রান্ত হন। আর রবিবার সব পুরনো রেকর্ডই ভেঙে গিয়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২,২৭৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বাড়ছে। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনাও। চিন্তা রয়েছে অন্যান্য জেলা নিয়েও। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই এবার জেলাশাসকদের উপরে স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও রাজ্য প্রশাসনের পক্ষে বলা হয়েছে আক্রান্ত বাড়লেও বহু মানুষ সুস্থও হচ্ছেন। তাই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা শনিবারই বলেছেন, রাজ্যের করোনা সংক্রমণ বেড়ে চললেও তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। করোনা যে গতিতে এগোচ্ছে তার থেকেও বেশি গতিতে রাজ্য সরকার সমস্ত চিকিৎসা বন্দোবস্ত করছে।