দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লালগড় থানার মালখানা থেকে বন্দুক চুরির ঘটনায় কলকাতার বাগুইআটি থেকে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জামবনি থানার সাব ইন্সপেক্টর তারাপদ টুডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তার খোঁজ মেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ১৮টি বন্দুকের একটি উদ্ধার হয়েছে বলেও পুলিশের দাবি।
রবিবার ধৃত ব্যবসায়ী সুপ্রিয় দে’কে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে আট দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয় তারাপদ টুডু সহ অন্য চারজনকে। পুলিশ এ দফায় ফের তাদের ন’দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানালেও পাঁচদিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
পুলিশ জানিয়েছে, জামবনী থানার সাব ইন্সপেক্টর তারাপদকে জেরা করে সুপ্রিয়র নাম সামনে আসে। এরপর মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে খোঁজ শুরু হয় তার। কিন্তু পালিয়ে বেরানোয় ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার রাতে পাকড়াও করা হয় তাকে। এরপরেই তাকে ঝাড়গ্রামে নিয়ে আসে পুলিশ। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ১৮টি বন্দুকের একটি উদ্ধার হয়েছে বলেও পুলিশের দাবি। ধৃত সাব ইন্সপেক্টরের সঙ্গে অস্ত্র মামলায় পুরুলিয়া জেলে বন্দি একজনের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২০০৮ এর পরবর্তী সময়ে যখন জঙ্গলমহলে মাওবাদী আন্দোলন তুঙ্গে তখন তাদের হাত ধরে প্রচুর অস্ত্র ঢুকেছিল এই এলাকায়। লাগাতার অভিযানে তার একটা বড় অংশ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এই নিয়ে মামলা চলায় বিভিন্ন থানার মালখানায় রাখা ছিল এই সমস্ত অস্ত্র।
লালগড় থানার মালখানা থেকে পরপর ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র চুরির অভিযোগ ওঠে। থানার মালখানা থেকে কীভাবে চুরি যাচ্ছে অস্ত্র তা প্রথমে বুঝতে পারেননি কেউ। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় জামবনি থানায় কর্মরত তারাপদ টুডুকে। জামবনিতে বদলি হয়ে আসার আগে লালগড় থানার মালখানার দায়িত্ব সামলাতেন তিনি। এ বছরের ১৬ জানুয়ারি বিশ্বজিৎ পাঞ্জা মালখানার দায়িত্ব পান। তারাপদ টুডু দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার সময় অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। ১৮ টা সেফ কাস্টডি বন্দুক। হিসেব মিলছিল না। এই অসঙ্গতির ভিত্তিতে আইসি লালগড় অরিন্দম ভট্টাচার্যের অভিযোগের ভিত্তিতে ২১ জানুয়ারি এফআইআর দায়ের হয়। ৪০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়।