দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নদিয়ার করিমপুর আসনে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে মাটিতে পেলে মারধর করল দুষ্কৃতীরা। করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে পিপুলখোলা এলাকায় রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। এমনকি একটি ঝোপে তাঁকে ফেলে দিয়ে পদাঘাত করতেও দেখা গেছে টিভি ক্যামেরায়। এ ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী।তাঁকে নিগ্রহের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
এক নজরে:
- চলছে রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর ও খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রে এই উপনির্বাচন চলছে।
- নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট চলছে ৮০১টি কেন্দ্রে। রয়েছে কড়া সুরক্ষা।
- মোট ১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে। এছাড়াও রয়েছে রাজ্য পুলিশ।
https://www.facebook.com/isani.ghoshroychowdhury/videos/2616742405072701/?sfnsn=scwspmo&d=n&vh=i
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “করিমপুর অস্তিত্বরক্ষার লড়াই, তাই বিজেপি প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকৃত রূপ দেখা গেল।”
এই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে পিপুলখোলা স্কুলের বুথে সকালেও অশান্তি হয়েছিল। সেখানে একটি জমায়েত হচ্ছিল, পুলিশ তা সরিয়ে দেয়। এদিন সাহেবপাড়ায় বিজেপিপ্রার্থীকে কালো পতাকা দেখায় তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায় যে ‘এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনও স্থান নেই।’
বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের ঘটনাও ঘটে পিপুলখোলাতেই। জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তৃণমূলের ভোটলুঠ তিনি আটকাতে যেতেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁদের মারধর করেন। তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র সাংসদ হয়ে এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে। মহুয়া মৈত্র এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি।
ভোট শুরু হতে না হয়েই সাময়িক ভাবে উত্তপ্ত হয় নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের লক্ষ্মীপুর। এখানে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে বুথে ঢুকতে বাধা দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ভোটগ্রহণ শুরুর আগে থেকেই তিনি বিভিন্ন বুথে ঘুরছিলেন। ঘণ্টাখানেক পরে বিজেপি প্রার্থীকে একটি বুথ থেকে বার করে দেন আধাসেনা কর্মীরা। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। যদিও বিজেপি প্রার্থীকে তৃণমূলের বাধা দেওয়ার অভিযোগকে স্রেফ নাটক বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায়।