দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গে এসে আটকে গেছে নমামি গঙ্গে প্রকল্প। গঙ্গাসাগরে উষ্মাপ্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বললেন, গঙ্গোত্রী থেকে পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা পর্যন্ত শুদ্ধিকরণের প্রকল্প নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বাংলায় এসে এই প্রকল্প আটকে গিয়েছে। বঙ্গে বিজেপি এলে ফের গঙ্গার শুদ্ধিকরণ প্রকল্প চালু হবে।

দেশকে প্রণবানন্দের আদর্শের ভারত বানাব, চেতনা নিয়ে যাচ্ছি..

এদিন ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে কলকাতার বালিগঞ্জে  ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কথা বলেন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে।

ভারত সেবাশ্রম সংঘে আরতি করে সন্ন্যাসীদের সঙ্গে আলাপ করেনন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে সামাজে সংঘের অবদান সম্পর্কে অবগত করান মহারাজরা। শাহ জানান আহমদাবাদে স্বামী গণেশানন্দের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। উনিই প্রণবানন্দের আদর্শের বিষয়ে আমাকে জানান। পরবর্তীকালে আমি বার বার ভারত সেবাশ্রমে গণেশানন্দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি।

লক্ষ্য একুশের নির্বাচন। বুধবার রাতেই রাজ্যে এসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে চলেছেন তিনি। একুশের ভোটের রণকৌশল নির্ধারণের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ভোটের আগে উজ্জীবিত করতে এদিন অমিত শাহ ঠিক কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।

শ্রীচৈতন্যকে নিয়ে বাংলায় টুইট করলেন অমিত শাহ-

বুধবার রাতে তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা সহ রাজ্য বিজেপি-র একাধিক শীর্ষ নেতা। এদিন সকালে রাসবিহারীর ভারত সেবাশ্রম সংঘে যান তিনি। সেখানে মহারাজ এবং আশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাহ। এরপর দুপুর ১২ টার সময় গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির আশ্রমে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে পুজো দেবেন তিনি, জানা গিয়েছে এমনটাই। ১২টা ৪৫ মিনিটে নামখানার ইন্দিরা ময়দান থেকে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন অমিত শাহ। এরপর সেখানে জনসভা করে দুপুর ২ টো নাগাদ নারায়ণপুরে এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। ২ টো ৪৫ মিনিট নাগাদ নামখানার শ্মশান কালী মন্দির থেকে শুরু হবে অমিত শাহের রোড শো। এদিন ৪ টা ৪৫ নাগাদ তিনি যাবেন অরবিন্দ ভবনে।

অমিত শাহের সভার আগে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাকদ্বীপ থেকে সাগর। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর প্রতিটি মোড়ে টহলদিচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে সাগরদ্বীপে আসবেন শাহ। কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে নামখানার সভাস্থলে ফিরে আসবেন তিনি। পরে পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনাও করবেন। তিনি যে যে জায়গায় নামবেন, প্রত্যেক জায়গায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিতের নিরাপত্তার থাকছে১৭০০ পুলিশকর্মী, ৭০ জন সিআরপিএফ, এবং এএসপি এবং ডিএসপি পদমর্যাদার বহু অফিসার। যেহেতু সাগরে স্নান করে কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেবেন শাহ,তাই দ্বীপ-জুড়ে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। শুধু সাগরের জন্য থাকছেন এএসপি এবং কম্যান্ডিং অফিসার পদমর্যাদার ৯ জন অফিসার, ডিএসপি পদমর্যাদার ২২ জন অফিসার, ৩৫ জন ইন্সপেক্টর, এবং ২১২ জন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক এবং ৫১০ জন পুলিশ কর্মী এবং ৭৩৫ সিভিক ভলেন্টিয়ার। এছাড়াও যে যে জায়গায় শাহ নামবেন, প্রত্যেক জায়গাতেই থাকবেন একজন করে এএসপি পদমর্যাদার অফিসার। ইতিমধ্যেই জায়গায় জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে পুলিশি টহলদারি। শাহ আসার আগে হেলিপ্যাড ও রাস্তাগুলিতে স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সময় প্রথমে কোচবিহার পরে দুপুরে ঠাকুরনগরে জনসভায় যোগ দেন তিনি। গত সফরে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সভায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে। নয়াদিল্লির ভিভিআইপি জোনে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে গত ৩০ জানুয়ারি দু’দিনের রাজ্য সফর বাতিল করেছিলেন অমিত শাহ। তার জেরে বাতিল হয়ে যায় মায়াপুর ও ঠাকুরনগরের সভা। সভা বাতিলের কথা জানাজানি হতেই হতাশা নামে মতুয়া সমাজের একাংশের মধ্য়ে। নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবিতে সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিতপতি তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির বাইরে মতুয়ারা বিক্ষোভও দেখান। ক্ষোভ প্রশমনে ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়রা। সিদ্ধান্ত হয়, সভামঞ্চ খোলা হবে না ঠাকুরনগরে। ফোনে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও বলেন অমিত শাহ। পরে অবশ্য ঠাকুরনগরে সভা করেন অমিত শাহ। পরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, ২০ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফের রাজ্যে আসতে পারেন মোদী।

একুশের নির্বাচনে বঙ্গ মসনদ দখল করতে মরিয়া বিজেপি। ভোটের আগে রাজ্যে আনাগোনা করছেন বিজেপি-র একগুচ্ছ কেন্দ্রীয় নেতা। বঙ্গ ভোটেও মোদী- শাহ ম্যাজিক কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলে একাংশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here