দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ হলদিয়ায় রাজনৈতিক সভা নরেন্দ্র মোদীর। পেট্রোলিয়ামমন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শনিবার বাংলায় পা রেখেছেন তিনি। দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। তার পর হেলিকপ্টারে চেপে সটান হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানে এসে হাজির হন। সেখানে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে একমঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিনের সভায় রয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা। রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, দেবশ্রী চৌধুরীও।হলদিয়ায় সরকারি অনুষ্ঠানে এ দিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কিন্তু তিনি যেতে পারছেন না।
লাইভ আপডেট—
মমতার হাত ধরে বাংলায় বামেদের অত্যাচারের নীতিই পুনর্জীবন পেয়েছে। বাংলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
আজকের বাংলা উন্নতি চায়, পরিবর্তন চায়। গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করতে পেরেছে? বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য এ খানকার রাজনীতিই সবচেয়ে দায়ী। স্বাধীনতার পর এখানে কোনও ভাল রাজনৈতিক দলই আসেনি। কংগ্রেসের আমলে শুধু দুর্নীতি করেছে। বামেলার দুর্নীতির সঙ্গে অত্যাচার চালিয়েছে। বিকাশ আটকে দেন ওঁরা। হিংসা এবং অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ২০১১-র দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাদি। মানুষ ওঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে নির্মমতা ছাড়া কিছু পাননি বাংলার মানুষ।
আজ বাংলায় দাঁড়িয়ে একটা প্রশ্ন করতে চাই। ব্রিটিশ শাসনের সময়ও পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত রাজ্য ছিল। পরিকাঠামো, বাণিজ্যে বাংলার মোকাবিলা করার মতো কেইউ ছিল না। বাংলার কৃষক খুব পরিশ্রমী। বাংলায় উন্নয়নের সেই গতি থমকে গেল কেন? এত বড় বড় বন্দর থাকতে অন্য রাজ্য বানিজ্যে বাংলাকে টপকে গেল কি ভাবে?
চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকরা সুবিধা পাবেন। তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। চা-বাগানের সঙ্গে যুক্ত সব পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
কলকাতায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। এ বারের বাজেটে আরও টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এ বছরও হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলার জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ করেথছি আমরা। কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের সংস্কার হবে। আগের বছরের তুলনায় বাংলার রেলের জন্য ২৫ শতাংশ বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ভাগ্য ভাল কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার ৪ কোটি মানুষের জন ধন অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। তার জন্যই করোনার সময় সরকারের কাছ থেকে চাকা পেয়েছিলেন মানুষ। করোনার সময় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। বাংলার কৃষকরাও এই সুবিধা পেতে পারতেন। কিন্তু এখানকার সরকার এই প্রকল্পই নিতে চায়নি। বাংলার মানুষ তাই মমতাদিকে শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তা বুঝেই সে নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সরাসরি কৃষকদের পিএম সম্মান নিধি প্রকল্পের সুযোগ দিতে চায় না তৃণমূল সরকার।
এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এল, ঘূর্ণিঝড়ের সময় অনেক টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই টাকার জন্য আদালতকেও হস্তক্ষেপ করতে হয়। করোনার সময়ও কম বিপদ ছিল না। অনেক মানুষের রোজগার চলে গিয়েছিল। বাংলার মানুষের জন্য সেই সময় বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের রেশন এখানকার সরকার সঠিক ভাবে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি।
নন্দীগ্রামে যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, যাঁরা গরিবের রক্ত বইয়েছিলেন, আজ তাঁদের দলে নিচ্ছেন কেন? বাংলার মানুষ কি শুধু নির্বাচনের ঘুঁটি? দুঃসময়েও এখানকার রাজনীতিকরা নিজেদের ফায়দা খোঁজেন।
মমতার হাত ধরে বাংলায় বামেদের অত্যাচারের নীতিই পুনর্জীবন পেয়েছে। বাংলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যাঁরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন আজ ভারতমাতার জন্য কোনও আবেগ নেই তাঁদের।
আজকের বাংলা উন্নতি চায়, পরিবর্তন চায়। গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করতে পেরেছে? বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য এ খানকার রাজনীতিই সবচেয়ে দায়ী। স্বাধীনতার পর এখানে কোনও ভাল রাজনৈতিক দলই আসেনি। কংগ্রেসের আমলে শুধু দুর্নীতি করেছে। বামেলার দুর্নীতির সঙ্গে অত্যাচার চালিয়েছে। বিকাশ আটকে দেন ওঁরা। হিংসা এবং অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ২০১১-র দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাদি। মানুষ ওঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে নির্মমতা ছাড়া কিছু পাননি বাংলার মানুষ।
ভারতকে বদনাম করতে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু এ নিয়ে দিদির মুখ থেকে একটি কথাও বেরোয় না।
রাস্তায় রোজ খুন খারাপি হলে যুবকরা চাকরি পাবেন কী করে। উন্নতির কথা বললেই দিদি রেগে যান। ভারত মাতা কি জয় শুনলে রেগে যান। কিন্তু দেশবিরোধী মন্তব্যে কিছু যায় আসে না ওঁর।
আজ বাংলায় দাঁড়িয়ে একটা প্রশ্ন করতে চাই। ব্রিটিশ শাসনের সময়ও পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বিকশিত রাজ্য ছিল। পরিকাঠামো, বাণিজ্যে বাংলার মোকাবিলা করার মতো কেইউ ছিল না। বাংলার কৃষক খুব পরিশ্রমী। বাংলায় উন্নয়নের সেই গতি থমকে গেল কেন? এত বড় বড় বন্দর থাকতে অন্য রাজ্য বানিজ্যে বাংলাকে টপকে গেল কি ভাবে?
চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বিশেষ করে মহিলা শ্রমিকরা সুবিধা পাবেন। তাঁদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। চা-বাগানের সঙ্গে যুক্ত সব পরিবারকে অভিনন্দন জানাই।
কলকাতায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। এ বারের বাজেটে আরও টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এ বছরও হাজার হাজার কোটি টাকা বাংলার জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ করেথছি আমরা। কলকাতা-শিলিগুড়ি সড়কের সংস্কার হবে। আগের বছরের তুলনায় বাংলার রেলের জন্য ২৫ শতাংশ বেশি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।