- দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এই লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। সেইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তাই গত সোমবার থেকে লকডাউনের মধ্যেই কিছু কিছু ক্ষেত্রের উপর ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ছাড় আরও বাড়ানো হল। আরও কিছু ক্ষেত্রকে ছাড়ের আওতায় ঢোকাল কেন্দ্র।
- ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে। যে বিষয়গুলির উপর নতুন করে ছাড় দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
- গরম পড়ায় ফ্যানের দোকানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য পাঠ্যবইকে ছাড়ের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
- বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের বড়িতে যাঁরা আয়ার কাজ করেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- মোবাইল রিচার্জ ও প্রিপেড সেন্টারকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- চাল ও ডাল উৎপাদনের মিল ও বেকারিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- মৌমাছি, উদ্যানপালন ও কৃষির জন্য ব্যবহৃত গুদামকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- কৃষি ও উদ্যানপালনের সঙ্গে যুক্ত গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে।
২০ এপ্রিল প্রথম দফায় যে ক্ষেত্রগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কৃষি, গ্রামীণ শিল্প ও গ্রামীণ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প। এবার যে ক্ষেত্রগুলির উপর ছাড় দেওয়া হল তার মধ্যে বেশিরভাগই শহর কেন্দ্রিক। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার দিকে কড়া প্রশাসন। এই দুটি ক্ষেত্রে যেন কোনও অন্যথা না হয়।
লকডাউনে ঠিক কী কী ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে অনেকের মনেই অনেক সংশয় রয়েছে। ফলে সমস্যা বাড়ছে। এই সমস্যা দূর করতেই নির্দেশিকা জারি করে কী কী ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই ক্ষেত্রগুলির বাইরে বাকি সব ক্ষেত্রে যেরকম বিধিনিষধ ছিল তা চালু থাকবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।