রেকর্ড গড়ে, চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0
796

দেশের সময়ওয়েবডেস্ক:চতুর্থবারের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেল ৩.‌৪০ মিনিট নাগাদ বঙ্গভবনের অডিটোরিয়ামে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। হাসিনার পর একে একে শপথ নেন তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যরাও। ৪৭ জনের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী। আগের বারের মন্ত্রিসভার থেকে ৩৬ জন মন্ত্রীকে ছেঁটে ফেলেছেন হাসিনা। মন্ত্রিসভার ৩১ জন সদস্য এই প্রথম মন্ত্রী হলেন। শরিক দলগুলি থেকেও কোনও সদস্যকে মন্ত্রিসভায় রাখেননি হাসিনা। তাঁর মন্ত্রিসভার সবাই আওয়ামি লিগেরই সদস্য। সোমবার থেকেই কার্যকাল শুরু হল ১১তম বাংলাদেশ পার্লামেন্টের। গত সপ্তাহে বিপুল ভোটে জিতে ফের বাংলাদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে আওয়ামি লিগ। গত বৃহস্পতিবারই রাষ্ট্রপতি হাসিনাকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরি, মোহাম্মদ নাসিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মতো প্রবীণ নেতাদের এবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে ওবায়দুল কাদেরকে তাঁর সেতু ও পরিবহণ দপ্তরেই রেখে দিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই ড. আবদুল মোমেনকে, যিনি এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শপথ নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদেশনীতি আগের মতোই থাকবে। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। আমরা সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে এগিয়ে যেতে চাই।’ জীবনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার সাতদিন পরই মন্ত্রী হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘এমপি হয়ে সাতদিনের মাথায় কেউ পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন, এ দেশে এমনটা হয়নি। বিষয়টি ভেবে গর্ববোধ করছি।’ নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী–‌সহ ৪ জন মহিলার ঠাঁই হয়েছে। সংখ্যালঘু প্রতিনিধি আছেন ৩ জন।

১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ৫ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আজ ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশে পরপর তিন বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং ৪ বার প্রধানমন্ত্রী থাকার নজির আর কারও নেই। বাংলাদেশের তিনটি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদে, ১৯৯১ সালে পঞ্চম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বাংলাদেশের তিনটি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদে, ১৯৯১ সালে পঞ্চম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। এরপর ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবেই দেশে ফেরেন। সর্বশেষ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।প্রায় ৩৮ বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।‌‌

সর্বশেষ রেকর্ডটি গড়েন তিনি।প্রায় ৩৮ বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।‌‌

Previous articleদু’দিনের ধর্মঘট মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার
Next articleশীর্ষ আদালতে বড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার,অলোক বর্মাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here