দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ তিনি এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় কিনা বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেড়াতে গিয়ে ঘোর বিপাকে পড়েছেন।
রবিবার রাতে তাঁরা বেড়াতে গিয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়চকে। বৈশাখীদেবীর অভিযোগ, রবিবার রাত থেকেই তাঁদের বাংলো ঘিরে রয়েছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। বাইরে বেরোতে পারছেন না তাঁরা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীর অভিযোগ, পুলিশের সাহায্য চেয়েও তাঁরা পাননি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও ব্যাপারটা জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় থানার দু’তিনজন পুলিশকর্মী সেখানে গেলেও বাইরে থেকে হঠানো যায়নি দুষ্কৃতী জমায়েত। যদিও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।
সোমবার রাত পর্যন্ত তাঁরা বাংলোর ভিতর বন্দি রয়েছেন বলেই খবর। রবিবার বিকেলে মা ও মেয়েকে নিয়ে রায়চকে যান মিলি আল আমিন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপিকা বৈশাখীদেবী। তাঁদের সঙ্গেই যান শোভনবাবুও। বৈশাখীদেবীর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই এ সব করাচ্ছে। লাগাতার বাংলোর বাইরে থেকে গালিগালাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বৈশাখী। কেউ বাংলোর ভিতরে ঢুকলে ছবি তুলে রাখা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। বাংলোর ভিতর নিজেদের অসহায়তার কথাও জানিয়েছেন বৈশাখী। তাঁর কথায়, বাংলোর ভিতর জল নেই, কেটে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগও।
কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা চলছে শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। বৈশাখী এবং শোভন দু’জনেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বলে খবর। যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত সরকারিভাবে বিজেপিতে যোগ দেননি শোভনবাবু। এখনও তিনি তৃণমূলেরই বিধায়ক। বিজেপি-র এক নেতার কথায়, “দলের বিধায়কের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে বাংলায় গণতন্ত্র ঠিক কতটা দৃঢ়।
এই ক’মাস আগেও শোভনবাবু ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা সভাপতি। রায়চক, ডায়মন্ড হারবার-সহ গোটা জেলাই তাঁর হাতের তেলোর মতো চেনা। অনেকের মতে, হাতে গড়া সংগঠনের হাতেই যে এমন অসহায় অবস্থায় পড়তে হবে তাঁকে, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কখনও ভাবেননি কানন (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সস্নেহে এই নামেই ডাকতেন)। এখন দেখার রায়চকের বাংলো থেকে কখন বেরোতে পারেন শোভন-বৈশাখী।